দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রাতারাতি তারকা বনে যাওয়া রানাঘাট স্টেশনের রানু মন্ডলের জীবনের অন্যতম দিন হয়ে থাকবে ১১ সেপ্টেম্বর। এদিন মুক্তি পেয়েছে বলিউডে তার প্লেব্যাক করা প্রথম গান ‘তেরি মেরি কাহানি’।
যার গান গেয়ে এতো খ্যাতি পেলেন রানু মণ্ডল, সেই কিংবদন্তি গায়িকা লতা মঙ্গেশকর এমন একজনের আচমকা খ্যাতিকে ইতিবাচক ভাবে দেখেননি। ৮৯ বছর বয়সী এই মেলোডি কুইন মনে করেন যে, অনুকরণ করে কখনও সাফল্য পাওয়া যায়, তবে টিকে থাকা মুশকিল।
জানা গেছে, লতার এমন মন্তব্যে মোটেও মন খারাপ করেননি রানু মণ্ডল। তার কাছে, লতা হলেন শ্রদ্ধেয় একজন মানুষ ও শিল্পী। লতার মন্তব্যের জবাবে ভারতের সংবাদপত্রকে রানু মণ্ডল বলেছেন, ‘লতাজির কাছে আমি অনেক ছোট একজন মানুষ। সবসময়ই আমি তার চেয়ে ছোট হয়েই থাকবো। ছোটবেলা থেকেই তার গান আমার ভালো লাগে। তিনি আমাকে নিয়ে যা বলবেন সবই আমার জন্য প্রেরণা এবং আশির্বাদ বলে আমি মনে করি।’
রানু মণ্ডলের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে লতা মঙ্গেশকর সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার নাম ও কাজের মাধ্যমে কারও সুবিধা হলে নিজেকে আমি ভাগ্যবতী মনে করি। তবে আমার বা কিশোরদা (কিশোর কুমার), রফি সাহেব (মোহাম্মদ রফি), মুকেশ ভাই এবং আশার (আশা ভোঁসলে) গান গেয়ে উচ্চাভিলাষী শিল্পীরা স্বল্প সময়ে আলোচনায় আসতে পারেন। তবে এই খ্যাতি বেশিদিন টেকে না। তাই প্রত্যেক শিল্পীকেই মৌলিক হতে হবে।’
লতার সেই কথার প্রতিক্রিয়ায় রানু মণ্ডল বলেন, ‘রেলস্টেশনে গান গাওয়ার সময় কখনও আমি বুঝিনি এমন সুযোগ আসবে। তবে নিজের কণ্ঠের প্রতি আমার বিশ্বাস ছিল। লতাজির গায়কীতে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি। আগামীতেও আমি কখনও আশা ছাড়বো না। আমি গাইবোই।’
অপর দিকে রানুকে নিয়ে তার প্রথম গানের সঙ্গীত পরিচালক হিমেশ বলেছেন, ‘লতাজির মতো কিংবদন্তি কেওই হতে পারবে না। তিনি হলেন অতুলনীয়। রানুজি তার সুন্দর পথচলা সবেমাত্র শুরু করেছেন। আমি মনে করি, লতাজির মন্তব্যকে মানুষ ভুলভাবেই ব্যাখ্যা করছে। সত্যিই এটা ঠিক যে, অন্য শিল্পীকে অনুকরণ করে চললে টিকে থাকা যাবে না। তবে এটাও সত্যি যে, কারও কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পাওয়াটাও জরুরি একটি বিষয়। রানুজি সেই অনুপ্রেরণা লতাজির কাছ থেকেই পেয়েছেন।’