দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্যক্তিগত জীবনে সবাই সুখি হতে পারে না। কণ্ঠশিল্পী সালমার ক্ষেত্রে তাই ঘটেছে। বিচ্ছেদ ঘটেছে তার দাম্পত্য জীবনের। নতুন করে আবার সংসার গড়েছেন। তবে সমাজে গঠনমূলক কাজের মাধ্যমে তিনি নিজেকে ব্যস্ত রাখতে চান।
এমন একটি জীবনের কথা বলতে গিয়ে এই কণ্ঠশিল্পী বললেন, ‘জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলাম মানবিক উন্নয়ন কাজ করার মাধ্যমে। শিক্ষার প্রসারে সর্বদা কাজ করবো কোমলমতি শিশুসহ সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য।’
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, সম্প্রতি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট বড়দাসপাড়ায় ৩০০ শিশুকে শিক্ষা উপকরণ এবং খাদ্যসামগ্রী প্রদান করেছেন কণ্ঠশিল্পী সালমা। তারপর বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন তিনি। এটাকেই নিজের জীবনের নতুন অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করলেন সালমা। ইতিমধ্যে নিজের মেয়ের নামে স্থাপন করেছেন একটি ফাউন্ডেশন যার নাম ‘সাফিয়া ফাউন্ডেশন ফর এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট।’ এই সংস্থার মাধ্যমেই শিশুদের শিক্ষা নিয়ে কাজ করে যেতে চান এই জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী।
এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে সালমা বলেন, ‘মানুষ যখন স্বপ্ন দেখে, তখন অনেক বড় স্বপ্নই দেখে। আমিও অনেক বড় স্বপ্নই দেখছি। আজ ৩০০ শিশুর হাতে শিক্ষা এবং খাদ্য সামগ্রী তুলে দিতে পেরেছি। আগামীতে লাখ লাখ শিশুর হাতে এগুলো তুলে দিতে চাই, আমার স্বপ্ন অনেক বড়। আমি চাই আপনাদের দোয়া, দেশের সব মানুষের দোয়া। নিজেকে সবসময় মানবিক কাজে, মানব্ধিকারের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখতে চাই।’
কণ্ঠশিল্পী সালমা সোশ্যাল হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘দীর্ঘদিন যাবত সমাজের কাজে নিজেকে কিছুটা বিলিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা নিয়ে বসে ছিলাম। তবে কিভাবে কাজটি শুরু করবো বুঝতেই পারছিলাম না। কারও সহযোগিতাও আমি পাচ্ছিলাম না। অবশেষে আমার স্বামী আইনজীবি সানাউল্লাহ নূর সাগরের সহযোগিতায় আল্লাহর নামে এবার শুরু করলাম।’
কণ্ঠশিল্পী সালমা বলেন, ‘মানবিক উন্নয়নে প্রধান ও একমাত্র হাতিয়ারই হলো শিক্ষা। তাই বাকি জীবনটা আমি ও আমার স্বামী মিলে শিক্ষা নিয়ে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ। আমাদের মতো ক্ষুদ্র মানুষের প্রচেষ্টা যদি সামান্য হলেও সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে সেটাই হবে আমাদের জন্য পরম পাওয়া। সেই সঙ্গে সমাজের বিত্তবান মানুষদেরকে আহবান করবো তারা যেনো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন পিছিয়ে পড়া জনপদের মানুষদের উন্নয়নে।’
কণ্ঠশিল্পী সালমা আরও বলেন, ‘এই সুন্দর দেশটা আরও সুন্দর হোক, দেশে সকলের সুশিক্ষা নিশ্চিত হোক। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের শিক্ষা উপকরণ যেমন- খাতা কলম, খেলার সরঞ্জামাদি বিতরণ সহ দুপুরের খাবার পরিবেশন করলাম। স্কুল কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় সকলকে ধন্যবাদ আমাদেরকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর জন্য।’
কণ্ঠশিল্পী সালমা সম্প্রতি হাবিবের সুরে একটি গান গেয়েছেন। এখন ব্যস্ত বেশকিছু রেকর্ডিং নিয়েও। তাছাড়া মূল লক্ষ্য পারফর্ম। সালমা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের আয়ের একটা অন্যতম উৎসই হলো স্টেজ শো, তাই এদিকে আমাদের একটু মনোযোগ দিতে হবে।’