দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানসিক চাপ একটি কঠিন জিনিস। কারণ এই মানসিক চাপ আমাদের জীবনে অনেক সমস্যা সৃষ্টি করে। পরীক্ষায় চাপ কমানোর জন্য শিক্ষার্থীদের ‘কবরে শুয়ে থাকার’ এক অভিনব পরামর্শ দেওয়া হয়েছে!
অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া জন্য আমরা নানা ধরনের পন্থা অবলম্বন করি। কেও বেড়াতে যাই, কেও বা আবার যোগ-ব্যায়াম করি- আবার অনেকেই শরণাপন্ন হই চিকিৎসকের।
এবার মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে শিক্ষার্থীদেরকে অভিনব পরামর্শ দিলেন নেদারল্যান্ডসের র্যাডবউড বিশ্ববিদ্যালয়। নিজমেগেন শহরের এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমানোর জন্য শিক্ষার্থীদের কবরে শুয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররের এক খবরে বলা হয়েছে, পরীক্ষা সামনে আসলে শিক্ষার্থীরা প্রচণ্ড রকম মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন। তাদের এই চাপ হতে মুক্তি দেবে এই অভিনব ‘পিউরিফিকেশন পদ্ধতি’। এটা পরীক্ষার চাপসহ সব ধরনের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে। এজন্য অভিনব এই ‘গ্রেভ থিওরি’ বেছে নিয়েছেন ওই র্যাডবউড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মানসিক চাপ কমানোর এই পদ্ধতিটি হলো কবরের মতো বড় একটি গর্তে শুয়ে থাকতে হয় শিক্ষার্থীদের। একজন শিক্ষার্থী সর্বনিম্ন ৩০ মিনিট হতে সর্বোচ্চ ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় কাটাতে হবে এই কবরে। তবে একটি শর্ত হলো- শুধু একটি মাদুর ও একটি বালিশ নিয়ে সেখানে যাওয়া যাবে। নেওয়া যাবে না মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো ব্যক্তিগত জিনিসপত্রও।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে আরও বলা হয়, অভিনব এই পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে দারুণভাবে সাড়া ফেলেছে। বিষয়টি এতো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে, শুদ্ধিকরণের এই কবরে থাকতে শিক্ষার্থীদের রীতিমতো সিরিয়াল দেওয়া লাগছে। সেন ম্যাকলগলিন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি এবং আমার রুমমেট চেয়েছিলাম ওই কবরে এক সপ্তাহ আগে থাকার জন্য। সিরিয়াল দিতে গিয়ে দেখি সেখানে ইতিমধ্যে অপেক্ষমানদের একটি তালিকা রয়েছে। তো এতেই বোঝা যাচ্ছে যে, বিষয়টি কতো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।’
প্রজেক্টটির উদ্যোক্তা জন হ্যাকিং এ সম্পর্কে বলেন, ‘জীবন শেষে মৃত্যু অনিবার্য সেটি আমাদের সকলের জানা। এই চিরন্তন সত্যটি ১৮, ১৯ এবং ২০ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের বোঝানো খুবই কঠিন একটি বিষয়। এই পিউরিফিকেশন কবর কিছুটা হলেও তাদের সময় সম্পর্কে ভাবতে সাহায্য করবে।’
জানা গেছে, ওই পিউরিফিকেশন কবরে ঢুকতেই চোখে পড়বে একটা বোর্ড। সেখানে ল্যাটিন ভাষায় লেখা রয়েছে, ‘মোমেন্টো মরি।’ অর্থাৎ, ‘মনে রেখ, তুমি একদিন মারা যাবে।’