দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার আধুনিক মানুষের ‘জন্মভূমি’র খোঁজ পাওয়া গেলো! অন্তত দু’লক্ষ বছর পূর্বে ‘বিবর্তন’ ঘটেছিলো উত্তর বতসোয়ানায় আধুনিক মানুষের! সম্প্রতি গবেষকরা এই দাবি করেছেন। ওই গবেষণাপত্রটি সম্প্রতি ‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। কোলকাতার প্রখ্যাত বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, আধুনিক মানুষের ‘আদিপুরুষের বাসভূমি’ আসলে কোথায় ছিল, এতোদিন সেটি এভাবে নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি।
এবার আধুনিক মানুষের ‘জন্মভূমি’র খোঁজ পাওয়া গেলো! অন্তত দু’লক্ষ বছর পূর্বে ‘বিবর্তন’ ঘটেছিলো উত্তর বতসোয়ানায় আধুনিক মানুষের! সম্প্রতি গবেষকরা এই দাবি করেছেন। ওই গবেষণাপত্রটি সম্প্রতি ‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। কোলকাতার প্রখ্যাত বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, আধুনিক মানুষের ‘আদিপুরুষের বাসভূমি’ আসলে কোথায় ছিল, এতোদিন সেটি এভাবে নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি।
দীর্ঘদিন যাবত মনে করা হতো যে, দৈহিক গঠন অনুযায়ী (অ্যানাটমিকালি) আধুনিক মানুষের (হোমো সেপিয়েন্স সেপিয়েন্স) উদ্ভাবন ঘটেছিল মূলত আফ্রিকায়। তবে আমাদের প্রজাতির নির্দিষ্ট ‘জন্মস্থান’ প্রকৃতপক্ষে অজানাই ছিল। আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণে কালাহারি মরুভূমির দেশ হলো বতসোয়ানায়। এটি বিভিন্ন দেশের ঘেরা ‘ল্যান্ডলকড’ দেশ।
বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যে, এটিই হলো আমাদের আদিপুরুষের জন্মভূমি। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নামিবিয়ার আদি বাসিন্দা ২০০ খোশিয়ান গোষ্ঠীর মানুষের ডিএনএ’র নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এদের দেহে প্রচুর মাত্রায় ‘এল০’ ডিএনএ বিদ্যমান। এর পর ডিএনএ পরীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্য অন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সঙ্গে তুলনা করে দেখেছেন বিজ্ঞানীরা, যেমন ভৌগোলিক অবস্থান, প্রত্নতাত্ত্বিক বদল, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ইত্যাদি বিষয়গুলো।
গবেষকরা জানিয়েছেন যে, এভাবে একটি জিনগত ‘টাইমলাইন’ পাওয়া যায়। দেখা যায় যে, ওই ‘এল০’ ডিএনএ-টি ২ লক্ষ বছর পূর্বেও আফ্রিকার দক্ষিণে বতসোয়ানায় জাম্বেজি নদী তীরবর্তী এলাকাতে ছিল।
এই গবেষণার অন্যতম হোতা হলেন ‘গ্যারভান ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল রিসার্চ অ্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব সিডনি’র অধ্যাপিকা ভেনেসা হেজ়। তিনি জানান, এই এলাকাটির নাম ‘ম্যাকগাডিকগাডি-ওকাভ্যাঙ্গো’। এক সময় এখানে একটি বড় হ্রদও ছিল। আকারে ‘লেক ভিক্টোরিয়া’র দ্বিগুণ হবে। তবে জায়গাটি এখন একেবারেই মরুভূমি। দু’লক্ষ বছর আগেও কোনও এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে হ্রদটি জলাভূমিতে পরিণত হয়েছিলো।
বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যে, এখানেই আধুনিক মানুষ বসবাস শুরু করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন স্থানে তা ছড়িয়ে পড়ে নানা ভাবে।