দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে আমাদের জীবন ব্যবস্থা হয়ে উঠেছে অনলাইনমুখী। আর এই অনলাইন পরিষেবাকে কাজে লাগিয়ে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় নানাবিধ প্রতিষ্ঠান ব্যবসা। যেমন এগিয়ে এসেছেন নারী উদ্যোক্তারাও।
এর দ্বারা খুব স্বাচ্ছন্দ্যের মাধ্যমে ঘরে বসেই আয় করা যাচ্ছে এবং এর প্রভাব পড়ছে আমাদের দেশের বেকার সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রেও। ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসার মাধ্যমে হাজারো মানুষ এখন স্বাবলম্বী হতে সক্ষম হয়েছে। আধুনিকায়নের এই ক্ষেত্রে মানব জাতি পেয়েছে এক অভিনব সুযোগ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে গড়ে তোলা ক্ষেত্রে।
ঠিক এমন একটি উদ্যোগ নিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের নারীরা হয়ে উঠছেন স্বাবলম্বী। অনলাইনের মাধ্যমে ঘরের তৈরি খাবারের ব্যবসা ক্ষেত্রে ১৫ জন নারী উদ্যোক্তা মিলে তৈরি করেছে একটি নতুন আয়োজন। ১৫ জন নারী উদ্যোক্তার অংশগ্রহণের ফলে গত শুক্রবার রাধুনী প্রজেক্ট এর নতুন একটি ফুড ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয় যার নাম রাখা হয় শেফ বিয়ন্ড হোম। এক্ষেত্রে নারী উদ্যোক্তাদের মালিকাধীন খাবারের ব্যবসা গুলোকে ক্রেতাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সে ক্ষেত্রে একটি উৎসবের আয়োজন করা হয় যাকে বলা হয় পপ অব কালার। এই উৎসবে অনলাইন ভিত্তিক খাবারের জনপ্রিয় সকল প্রতিষ্ঠানসমূহ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
খাবারের সকল প্রসিদ্ধ প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল চাচি’স চক, হোম কিচেনেটস্, ফুড ফ্রলিক, কুক অফ, টোনা-টুনি ক্যাটারিং, বোনাঞ্জা লাইফস্টাইল, ফ্লেভারিনো বাই স্যাম, কুক আপস, মলি’স ফ্যামিলি কিচেন, ডলি’স এ্যাটেলেয়ার সহ আরো অনেকেই।
সফলতার সাথে এই অনুষ্ঠানটি পর্যালোচনা করা হয় এবং পরিচালিত করা হয়। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের আকাঙ্ক্ষা উদ্দীপনা অধিক মাত্রায় বৃদ্ধি পায় যার ফলে ব্যবসার ক্ষেত্রে নারীদের মনোবল কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। এই অনুষ্ঠান দ্বারা উদ্যোক্তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় যার ফলে নতুন নতুন নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টির সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। আয়োজন পরিচালনাকারী সংস্থা ও কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে থেকে জানা যায় এটি সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত চলবে। এবং এ আয়োজনে সকল প্রকার ঘরোয়া খাদ্যের ব্যবস্থা করা হয়েছে যার মধ্যে বিরিয়ানি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের স্ন্যাকস বিদ্যমান থাকবে।
এদের মধ্যে ডেজার্ট, স্ন্যাকস, বেকারি আইটেম, আচার, জুস ইত্যাদি মুখরোচক খাবার রাখা হয়। আসছে শীতের কথা চিন্তা করে নানাবিধ শীতের পিঠা ও মুখরোচক সকল পিঠাপুলির ব্যবস্থাও এখানে করা হয়ে থাকে। এখানে ক্রেতাদের পছন্দমতো খাবার তৈরি করে দেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়। যার ফলে ক্রেতারা তাদের ইচ্ছামতো খাবার অর্ডার করতে পারবে এবং তারপর ক্রেতাদের দেওয়া অর্ডার অনুযায়ী খাবার তৈরি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় এবং সরাসরি তাদের বাসায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থাও করা হয় উক্ত অনুষ্ঠানে। এই উৎসবটি আয়োজনের সাথে অনলাইনে খাবার ব্যবসায়ীক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে যেখানে অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসার সুযোগ ও সুবিধা সমূহ আলোচনা করা হবে। এবং এই উৎসব সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।