দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রতিভা থাকলে তখন কোনো বাঁধাই যেনো তাকে দমাতে পারে না। যেমন দমাতে পারেনি ফিলিপাইনের অ্যাথলেট রিয়া বুলোসকে। জুতা নেই তবুও ব্যান্ডেজের জুতা পরেই স্বর্ণ জয় করলেন তিনি!
ছোট্ট এই মেয়েটি যেনো উড়তে চায়। তবে তার প্লেনে ওড়ার সামর্থ্য নেই। নিজের হাতেই বানিয়ে নিল একটা ডানা। উড়লো প্লেনের থেকেও অনেক ওপরে। ওই যে কথায় আছে না যে, ‘ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়’। এটি ঠিক সেই গল্পই। তবে সেটি সত্যি করে দেখিয়েছেন ১১ বছর বয়সী এক বালিকা!
ফিলিপাইনের অ্যাথলেট রিয়া বুলোস একজন স্কুলছাত্রী। বুলোস তার স্কুলের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ৪০০, ৮০০ ও ১৫০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় জিতে সোনার পদক জিতে নিয়েছেন। তবে অবাক করার বিষয় হলো এটাই যে তার পায়ে কোনোরকম আসল জুতোই ছিল না, তার পায়ে ছিল ব্যান্ডেজ দিয়ে তৈরি জুতো!
নিজের প্রতিযোগিতার শেষে যখন রিয়া মাঠে বসে পড়ে ঠিক তখন অন্যান্য প্রতিযোগিদের সেই সময় হঠাৎ করেই নজরে আসে রিয়ার পায়ের ব্যান্ডেজ দিয়ে বানানো জুতো, তাতে সবুজ রং এর কালিতে ‘নাইকি’ ব্রান্ডের চিহ্ন আঁকা!
রিয়ার এমন একটি দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে খুবই খুশি হয়েছেন রিয়ার ক্রীড়া শিক্ষক। তিনি জানিয়েছেন যে, রিয়া খুবই পরিশ্রমি একজন ক্রীড়াবিদ। কঠোর পরিশ্রম করেই রিয়া আজ এই সাফল্য অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে। তাছাড়াও তিনি জানিয়েছেন যে, রিয়া ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদ তাদের কাছেই রয়েছে তবে জুতো সহ অন্যান্য স্পোর্টস কিটের জন্য তারা কখনও ভালো ভাবে প্র্যাকটিসই করতে পারে না!
সোশ্যাল মিডিয়ায় রিয়াকে নিয়ে লেখালেখি শুরু হওয়ার পরই বহু মানুষ রিয়াকে স্পন্সর করতে এগিয়ে এসেছেন। ‘আলাস্কা এসেস’ সংস্থার জেফ ক্যারিয়াসো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছেন, তিনি রিয়াকে স্পন্সর করতে চান, তবে যোগাযোগ করার জন্য কারওর সাহায্য চাই। রিয়ার এক পরিচিত সেই সাহায্য করার ক’দিন পর রিয়ার একটি ছবি দেখা গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
দেখা যায়, স্থানীয় মলের একটি জুতোর দোকানে রিয়া নতুন জুতা পরে দেখছে। তাকে আর ব্যান্ডেজ দিয়ে জুতো বানাতে হবে না। সে মনের আনন্দে ছুটতে পারবে যতোখুশি, যেখানে খুশি। স্বাধীনভাবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।