দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কংগ্রেস প্রধান রাহুল গান্ধী অভিযোগ করে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভারতকে বিভক্ত করছেন। গতকাল (রবিবার) ভারতের তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে এক টুইট বার্তায় তিনি এই অভিযোগ করেন। নিজের ওই টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘প্রিয় ভারতীয় তরুণরা, মোদি ও অমিত শাহ ইতিমধ্যেই তোমাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দিয়েছে। কর্মসংস্থানের অভাবের কারণে তোমাদের ক্ষোভ ও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার যে ক্ষতি তারা করেছে, এর জন্য তারা কখনই তোমাদের সামনে আসতে পারবে না। আর তাই তারা ঘৃণার পিছে মুখ লুকিয়ে আমাদের বিভক্ত করতে চাইছে।’
কংগ্রেস প্রধান রাহুল গান্ধী অভিযোগ করে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভারতকে বিভক্ত করছেন। গতকাল (রবিবার) ভারতের তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে এক টুইট বার্তায় তিনি এই অভিযোগ করেন। নিজের ওই টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘প্রিয় ভারতীয় তরুণরা, মোদি ও অমিত শাহ ইতিমধ্যেই তোমাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দিয়েছে। কর্মসংস্থানের অভাবের কারণে তোমাদের ক্ষোভ ও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার যে ক্ষতি তারা করেছে, এর জন্য তারা কখনই তোমাদের সামনে আসতে পারবে না। আর তাই তারা ঘৃণার পিছে মুখ লুকিয়ে আমাদের বিভক্ত করতে চাইছে।’
ওই টুইট বার্তায় তিনি আরও লিখেন, ‘এখন তাদের হারানোর একমাত্র উপায় হলো, প্রতিটি ভারতীয়দের মধ্যে ভালোবাসা ছড়িয়ে দেওয়া।’
এর আগের দিন নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে প্রতিহত করতে কর্তৃপক্ষের ‘বর্বর এবং হিংস্র’ আচরণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকেই দায়ী করেছেন রাহুল গান্ধীর বোন, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সেই সঙ্গে এই দিনকে তিনি ‘গণতন্ত্রের কালো দিন’ বলেও উল্লেখ করেন।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আরও বলেন, ‘এনআরসি ও নাগরিকত্ব বিল দেশের সংবিধানের মৌলিক চেতনার পরিপন্থী। একই সঙ্গে বাবা সাহেব আম্বেদকরের সংবিধানের উপর আঘাত কোনোমতেই মেনে নেওয়া হবে না। দেশের মানুষ সংবিধান রক্ষার জন্য রাজপথে লড়াই করে চলেছে, তাদের সেই কন্ঠকে চেপে ধরতেই বর্বরতা এবং হিংস্রতার পথে হাঁটছে মোদী সরকার।’
উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনী এনে তা প্রথমে দেশটির সংসদে পাস ও পরে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মাধ্যমে আইনে পরিণত করার পর পুরো ভারত জুড়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। বর্তমানে সেই আন্দোলন সহিংস রূপ নেওয়ায় মাত্র কয়েকদিনে ২১ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছে। দেশটির ছাত্র-ছাত্রীরাও রাস্তায় নেমে এসেছে এই আন্দোলনে যোগ দিতে। সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলগুলোর খবরে সরকারি বিধি নিষেধ আরোপ করেছে মোদী সরকার। সব মিলিয়ে এক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে পুরো ভারত জুড়ে।