দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণ ফ্লুয়ের সঙ্গে করোনার মিল-অমিল কোনগুলো? সেগুলো হয়তো আপনার জানা নেই। আজ জেনে নিন বিষয়টি। তাতে আপনারই উপকার হবে।
ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, মাথা যন্ত্রণা এই বিষয়গুলোর সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। সাধারণ সময় এ সকল উপসর্গ মানে খুব বেশি হলে ভাইরাল ফ্লুয়ের কথাই ভাবা হতো কিছুদিন আগে পর্যন্তও। তবে এখন পরিস্থিতি একেবারে বদলেছে। এই সব উপসর্গ দেখা দিলেই করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) থাবা বসাল কি না তা নিয়ে শুরু হচ্ছে নতুন চিন্তা-ভাবনা।
এই দুই ধরনের জ্বরের উপসর্গে এতোটাই মিল যে, চিকিৎসকরাও রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন রোগ নির্ণয়ে। অনেক সময়ই দেরি হয়ে যাচ্ছে অসুখ ধরা পড়তে। তাই রোগ নির্ণয়ের সুবিধার জন্যই জেনে রাখা ভালো, এই দুই জ্বরের ধরন কেমন হতে পারে। তাছাড়া এর মিলই বা কোথায়।
সাধারণ ফ্লু ও করোনার মধ্যে মিল রয়েছে
# দুই ধরনের ফ্লু-ই ভাইরাসবাহিত রোগ।
# দুই রোগই সংক্রমণজনিত রোগ।
# দুটি রোগই মানবশরীর থেকেই ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম।
# দুই ধরনের ফ্লু-ই সময় মতো সচেতন না হলে কিংবা বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করলে নিউমোনিয়ার দিকে বাঁক নিতে পারে।
পার্থক্য কোথায়
# সাধারণ ফ্লু ও করোনা দুই-ই ভাইরাসঘটিত অসুখ হলেও দুই অসুখের ভাইরাসই সমগোত্রীয় নয়। সাধারণ ফ্লু ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের প্রকোপে হয় ও কোভিড-১৯ হয় করোনা গ্রুপের ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে।
# করোনা ভাইরাস ছড়ায়ও অনেক দ্রুত সময়ে। সেই তুলনায় ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস ছড়ায় অনেক ধীরে ধীরে।
# সাধারণ ফ্লুয়ের বেলায় ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে অসুখ দেখা দেয়। করোনার বেলায় ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ৭-১৪ দিনের মধ্যে অসুখটি দেখা দেয়।
# সাধারণ ফ্লুয়ের বেলায় জ্বর ১০৩-১০৪ ডিগ্রি পর্যন্তও উঠে যেতে পারে, তবে ওষুধের কাজ শুরু হলে তা আবার নামতেও শুরু করে। করোনার বেলায় জ্বর প্রবল হলেও নামতে চায় না খুব সহজে। ওষুধও তখন কাজ করে না।
# সাধারণ ফ্লু বোঝার জন্য কোনও পৃথক করে পরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে না। তবে করোনা কি না জানতে গেলে পলিমারেস চেন রিঅ্যাকশন কিংবা পিসিআর পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
# সাধারণ ফ্লুয়ের জন্য রয়েছে প্রয়োজনীয় ভ্যাক্সিন। তবে করোনা রোধে তেমন কোনও ভ্যাকসিনের সন্ধান এখন পর্যন্ত পাননি গবেষকরা।