দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন এক গ্রামের সন্ধান পাওয়া গেছে যে গ্রাম মূলত নারী দ্বারা পরিচালিত এবং সেই গ্রামে আবার পুরুষের প্রবেশ ও বসবাস সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ! গত ৮ মার্চ ছিল বিশ্ব নারীদিবস। নারী দিবসে আলোচনার কেন্দ্রে শীর্ষে চলে এলো কেনিয়ার একটি গ্রামের কথা। যে গ্রামের নাম উমোজা। এই গ্রামে পুরুষদের বসবাস করা তো দূরের কথা, সেখানে প্রবেশও নিষিদ্ধ! তবে কেনো এমন অদ্ভুত নিয়ম চালু করা হয়েছে এই গ্রামে? তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়টি।
এমন এক গ্রামের সন্ধান পাওয়া গেছে যে গ্রাম মূলত নারী দ্বারা পরিচালিত এবং সেই গ্রামে আবার পুরুষের প্রবেশ ও বসবাস সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ! গত ৮ মার্চ ছিল বিশ্ব নারীদিবস। নারী দিবসে আলোচনার কেন্দ্রে শীর্ষে চলে এলো কেনিয়ার একটি গ্রামের কথা। যে গ্রামের নাম উমোজা। এই গ্রামে পুরুষদের বসবাস করা তো দূরের কথা, সেখানে প্রবেশও নিষিদ্ধ! তবে কেনো এমন অদ্ভুত নিয়ম চালু করা হয়েছে এই গ্রামে? তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়টি।
জানা যায় যে, ১৫ জন ধর্ষিতা নারীর উদ্যোগে ১৯৯০ সালে এই গ্রামটি গড়ে ওঠে। ওই ১৫ জন নারী এই গ্রামে একসঙ্গে বসবাস শুরু করেন। পরবর্তীকালে আশেপাশের এলাকা হতে এবং সামাজিক ও পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীরাও এখানে এসে বসবাস করা শুরু করে দেন। ২০১৫ সালে এই গ্রামে বসবাসকারী নারীদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৭ জনে।
জানা যায় যে, এই গ্রামটির প্রত্যেক নারীই স্বনির্ভর। মূলত ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এই গ্রামের সকল সদস্য। এই গ্রামের নারীদের তৈরি গয়না বর্তমানে সারা বিশ্বেই বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। দেশ-বিদেশ হতে হাজার হাজার পর্যটকরা ছুটে আসেন এই উমোজা গ্রামে। এই প্রত্যয়ী, স্বনির্ভর নারীদের দেখার জন্য তারা ছুটে আসেন এখানে। পর্যটকদের থেকে পাওয়া প্রবেশমূল্য বাবদ পাওয়া সামান্য অর্থকেও গ্রাম উন্নয়নের কাজে ঢেলে দেন এইসব নারীরা।
প্রতি বছর নিয়ম করে এই গ্রাম পরিচালনার দায়িত্ব ভার পরিবর্তন হয়ে থাকে। প্রতি বছর ২ জন করে প্রতিনিধি গ্রাম পরিচালনার দায়িত্ব পান। বর্তমানে এই গ্রামে শিশুসহ মোট ৪০০ জন বসবাস করছেন। ছোটদের পড়াশোনার দায়িত্ব হতে সংসার চালানোর যাবতীয় ভার বয়ে চলেছেন গ্রামের এইসব নারীরাই। বিশ্ব নারীদিবসে ব্যতিক্রমী হিসাবে উমোজা গ্রামের বাসিন্দারা পথ দেখাচ্ছেন বিশ্বের লক্ষ লক্ষ নিপীড়িত সুবিধা বঞ্চিত নারীদের।