দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত উন্নত জীবনমান ও সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। দেশটির প্রধান ও বিশ্বব্যাপী পরিচিত নাম হলো দুবাই। এবার সবার জন্য উন্মুক্ত হলো আরব আমিরাতের বিশ্বের প্রথম ‘কুরআনিক পার্ক’।
দুবাই প্রদেশের আল-খাওয়ানিজ অঞ্চলে ৬৪ হেক্টর জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে এই কুরআনিক গার্ডেন ‘হলি কুরআন পার্ক’। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর গত ২৯ মার্চ এই কুরআনিক পার্কের উদ্বোধন করা হয়েছে।
তবে আকর্ষণীয় এই পার্কে প্রবেশে কোনও ধরণের ফীই দিতে হবে না কাওকেই। এমনটিই জানিয়েছে দেশটির পার্ক কর্তৃপক্ষ। দেশটির সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়- আল-খাওয়ানিজ অঞ্চলে ৬৪ হেক্টর জমির ওপর কুরআনে বর্ণিত বিভিন্ন ঘটনা এবং বিষয়ের আদলে গড়ে তোলা হয়েছে এই পার্কটি।
ইসলাম ধর্ম এবং কুরআন সম্পর্কে মানুষকে প্রকৃত ধারণা দিতে এই অভিনব পন্থাটি অবলম্বন করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। ইসলাম ছাড়াও অন্যান্য ধর্মের অনুসারী এবং সংস্কৃতির মানুষের কাছে এই পবিত্র কিতাবের সৌন্দর্য্য ও অলৌকিকতা উপস্থাপনের জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
দুবাইভিত্তিক গণমাধ্যম খালিজ টাইমস জানিয়েছে যে, বিনামূল্যেই এই পার্কটিতে প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পার্কটি শুধু মুসলিমদের জন্যই নয়, সব ধর্মের মানুষদের জন্যই এটি উন্মুক্ত। পার্কটির মাধ্যমে ইসলামের অর্জনগুলো মানুষ ভালোভাবে জানতে পারবে বলে কর্তৃপক্ষ মনে করছেন।
জানা গেছে, পবিত্র কুরআনে উল্লেখিত ৫৪টি গাছের সমন্বয়ে ১২টি উদ্যানও রয়েছে এই পার্কটিতে। এছাড়াও এতে কৃত্রিম হ্রদও তৈরি হয়েছে। পার্কটিতে রয়েছে মূল প্রবেশদ্বার, প্রশাসনিক ভবন, শিশুদের খেলার স্থান, ইসলামিক বাগান, দর্শনীয় স্থান, উন্মুক্ত আঙ্গিনা ও কুরআনের অলৌকিক ঘটনার বর্ণনাসমৃদ্ধ এলাকা এটি।
এই পার্কে দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে কোরআনের প্রাসঙ্গিক আয়াত এবং ঘটনা লিখে দেওয়া হয়েছে প্রতিটি নির্মাণের পাশেই। আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে এখানে তৈরি করা হয়েছে একটি ডিজিটাল থিয়েটার। সেখানে প্রদর্শন করা হবে ইসলামী ইতিহাসের বিভিন্ন ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত ভিডিও চিত্রও।
উদ্বোধন হওয়া ওই কুরআন পার্কে আরও রয়েছে আকর্ষণীয় ফটক, ঝর্ণা, কাঁচের বিল্ডিং, রানিং ট্র্যাক, মরুদ্যান, সাইকেলিং ট্র্যাকসহ নানা ধরণের স্থাপনা এবং আয়োজনও। পার্কটি নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে দুবাই মুদ্রায় ২৭ মিলিয়ন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।