দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা এতোদিন ভাবতাম হয়তো বাংলাদেশে স্মার্টফোন ব্যবহারে বিশ্বের অনেক দেশের থেকে এগিয়ে আছে। কিন্তু সেই ধারণা এবার ভুল প্রমাণিত হলো। বাংলাদেশ স্মার্টফোন ব্যবহারে নেপালের চেয়েও পিছিয়ে!
ফোর-জি নেটওয়ার্কের আওতার দিক দিয়ে ভারতের ঠিক পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। তবে স্মার্টফোন ব্যবহারের দিক থেকে নেপালের পেছনে রয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান। বর্তমানে নেপালে ৫৩ শতাংশ মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করে আসছে। অপরদিকে বাংলাদেশে ৪১ শতাংশ মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন।
গত ৩০ মার্চ মোবাইল ফোন অপারেটরদের বৈশ্বিক সংগঠন জিএসএমএর এক প্রতিবেদনে এমন একটি চিত্র উঠে এসেছে। যেখানে বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকার কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে স্মার্টফোনে উচ্চ করকে।
জিএসএমএর প্রতিবেদন আরও বলছে, ভারতে ৬৯, পাকিস্তানে ৫১, নেপালে ৫৩ এবং শ্রীলঙ্কায় ৬০ শতাংশ মুঠোফোন ব্যবহারকারীর হাতেই রয়েছে স্মার্টফোন। অথচ বাংলাদেশে ৫৯ শতাংশ মানুষ এখনও ফিচার ফোন ব্যবহার করছেন!
বাংলাদেশে মোবাইল সংযোগের সংখ্যা ১৭ কোটিরও বেশি। যার মধ্যে ইউনিক ইউজার ৫৪ শতাংশ। ইউনিক ইউজারের ক্ষেত্রে এক ব্যক্তির একাধিক সিম থাকলেও তাকে একজন ধরে হিসাব করা হয়ে থাকে।
ফোর-জি নেটওয়ার্কের আওতার দিক হতে দেশের অবস্থান ভারতের ঠিক পরেই। বাংলাদেশের মুঠোফোন ব্যবহারকারীদের ৪৭ শতাংশ টু-জি, ২৫ শতাংশ থ্রি-জি এবং ২৮ শতাংশ ফোর-জি ব্যবহার করে থাকেন। থ্রি-জি এবং ফোর-জি ব্যবহারে এগিয়ে রয়েছে ভারত। ভারতের ৬৮ শতাংশ মুঠোফোন ব্যবহারকারী দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, যার মধ্যে ৬৩ শতাংশই হলো ফোর-জি।
জিএসএমএর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে একটি মুঠোফোনের মালিক হতে যে পরিমাণ কর দিতে হয়, তা ভারত এবং পাকিস্তানের চেয়ে অনেক গুণ বেশি। যে কারণে বাংলাদেশে স্মার্টফোন ব্যবহারের সংখ্যা নেপালের চেয়েও কম।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।