দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকের চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার অভিজ্ঞতা থাকে না। ইন্টারভিউ দিতে গেলে তারা বেশ সমস্যায় পড়েন। আজ জেনে নিন চাকরির ইন্টারভিউ দিতে নিজেকে যেভাবে প্রস্তুত করবেন।
ভাইভা বোর্ডে কোনো প্রস্তুতি ছাড়া অংশগ্রহণ করলে তাতে করে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হতে পারেন এমন আশা করাটাই স্বাভাবিক। যা আপনাকে আপনার বিশ্বাসের জায়গা থেকেও অনেক দূরে নিয়ে যাবে এবং আপনাকে হতাশার জগতেও নিয়ে যেতে পারে। সেজন্য কোনো চাকরির প্রার্থীকে ভাইভাতে যাওয়ার আগে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতির দরকার পড়ে। যা ইন্টারভিউকে সহজ এবং প্রাণবন্ত করে তোলে। বা পরবর্তী ইন্টারভিউতে যাওয়ার ব্যাপারে আরও আগ্রহী করে তোলে।
কয়েকটি বিষয়ের উপর আপনাকে বেশ ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে। যেমন ধরুন- ভাইবার স্থানে আপনাকে কমপক্ষে ১০ মিনিট আগে উপস্থিত হতে হবে। যা আপনাকে মানসিক প্রশান্তি এনে দিবে। সেখানে গিয়ে ভালোভাবে ফ্রেশ হয়ে নিতে হবে। সর্বশেষ দেখে নিন আপনার ড্রেসআপ ঠিক রয়েছে কিনা। ভাইভার আগের রাতেই যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করুন। সকালে একটু আগেভাগেই ঘুম হতে উঠে পড়ুন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে আবার একটু দেখে নিন। বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা নিতে হবে।
এটা আপনাকে অতিরিক্ত মানসিক চাপ এড়াতে বিশেষ সহযোগিতা করবে। ভাইভা গ্রহণকারীকে প্রাধান্য দিয়েই তার সামনে নিজেকে বিস্তারিতভাবে আপনাকে উপস্থাপন করতে চেষ্টা করতে হবে। এতে করে চাকরিদাতা আপনার পেছনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কেও জানতে পারবেন। যা আপনার চাকরি পেতে ইতিবাচক হিসেবেই কাজ করবে। চাকরিদাতাকে মৌখিক কিংবা অঙ্গভঙ্গিতেও বোঝাতে পারেন। আগ্রহী মনোভাব চাকরিদাতার কাছে আপনার মূল্যায়ন আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। চাকরিদাতার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘হ্যাঁ’ কিংবা ‘না’ বলা হতে বিরত থাকুন। সুযোগ পেলেই বিস্তারিত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। যা আপনার বিচক্ষণতা সম্পর্কে ইন্টারভিউ গ্রহণকারীদের কাছে ইতিবাচক ধারণা দিতে উপযোগী হবে।
# জীবন-বৃত্তান্তের অতিরিক্ত একটি কপি অবশ্যই সঙ্গে রাখুন
# কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তরও প্রস্তুত রাখুন
# আপনার সম্পর্কে বলুন
# আপনার কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কেও কিছু বলুন
# আপনার ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দিকগুলো বলুন
আপনি কেনো আমাদের কোম্পানির সঙ্গে কাজ করতে চান? এছাড়াও আরও অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারেন। তা হলো-কোম্পানিটির কাছে আপনি কি আশা করেন? এই পজিশনে আপনার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জই বা কী? আপনি কি এই পজিশনের জন্য আপনাকে উপযুক্ত মনে করেন? ইত্যাদি। আপনি যদি চাকরিটির জন্য প্রকৃতপক্ষেই আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে যে কোনোভাবে চাকরিদাতাকে এটি বোঝাতে চেষ্টা করুন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।