দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ করোনা আসার পর মাস্কই একটি গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা হিসেবে কাজ করে। তাই নানা ধরনের মাস্ক দেখা যায়। এবার দেখা গেলো ব্যতিক্রমি মাস্ক নিম-তুলসি পাতার অদ্ভুত মাস্ক!
ভারতে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ হতে যে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়, সেখানে বলা হয় একটা নয়, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ হতে বাঁচার জন্য ‘ডাবল মাস্ক’ পরিধানের কথা। মহামারী কমানোর এটিকেই সর্বোত্তম উপায় হিসেবে বিবেচিত করা হয়।
তবে এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলো অদ্ভুত এক ধরনের মাস্ক, যা তৈরি করা হয়েছে নিম এবং তুলসি পাতা দিয়ে। রূপিন শর্মা নামে এক আইপিএস অফিসারের টুইটারে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যায় যে, দেশটির উত্তর প্রদেশের সীতাপুরের এক বৃদ্ধ নিম এবং তুলসী পাতা দিয়ে বানানো ওই মাস্কটি পরেছেন। নিম এবং তুলসির যে জীবানুনাশক ধর্ম রয়েছে ও আয়ুর্বেদে এর ব্যবহার সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি। তবে তার এমন ব্যবহার হয়তো এর আগে কেও ভাবতেও পারেনি।
তবে ভিডিও ক্লিপটিতে ওই বৃদ্ধকে বলতে শোনা যায় যে, নিম এবং তুলসির গুণাগুণের ব্যাখ্যা। তিনি এও দাবি করেন, এই মাস্ক সার্জিকাল, কাপড় ও এন-৯৫ এর মাস্কগুলোর চেয়েও অনেক বেশি কার্যকর!
দেখুন ভিডিওটি
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।