দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চুয়াডাঙ্গায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহতায় রূপ নিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু ঘটেছে। এই সময় ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষায় সবারই শরীরে পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। অর্থাৎ শনাক্তের হার শতভাগ দাঁড়ালো।
চুয়াডাঙ্গার করোনা শনাক্তের এই হার দেশের অন্য সব অঞ্চলের মধ্যে রেকর্ড করলো। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘন্টায় এই জেলায় ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪১ জনেরই করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। অর্থাৎ শনাক্তের হার ১০০ দশমিক ০০ শতাংশ। গতকাল (বুধবার) শনাক্তের হার ছিলো ৯৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই হার তার আগের দিন মঙ্গলবার ছিলো ৬৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অবশ্য এই ৪১ জনের নমুনা স্থানীয়ভাবে র্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষা করে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এই বিষয়টি বুধবার (২৩ জুন) রাতে বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেন চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান।
তিনি জানিয়েছেন, বুধবার রাতে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে ৪১টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল এসেছে। সবগুলোর ফলাফলই করোনা পজিটিভ। এই নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮৩৭ জনে।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৯ জন, দামুড়হুদায় ১ জন, আলমডাঙ্গায় ৭ জন এবং জীবননগর উপজেলায় ১৪ জন রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনায় মারা গেছে ২ জন। যারমধ্যে একজন সদর উপজেলায় এবং অপরপজন জীবননগর উপজেলার বাসিন্দা। এই পর্যন্ত জেলায় মৃত্যু ঘটেছে ৯১ জনের। তাদের মধ্যে জেলার ৮১ জন এবং জেলার বাইরে ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৯ জন। এই নিয়ে জেলায় মোট ২ হাজার ৪৯ জন সুস্থ হলেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।