দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খেলা দেখতে বাংলাদেশের দর্শকরা ভোরে উঠে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। কারণ আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল দুটি দলের সমর্থক রয়েছে সমানে সমান। তবে শেষ হাসি ছিলো আর্জেন্টিার। মেসি সমর্থকদের বড় পাওয়া ছিলো মেসির গোল্ডেন বল-বুট।
আজকের খেলা ছিলো সত্যিই ব্যতিক্রমি। কারণ করোনা মহামারির কারণে মানুষ ঘরকুণো। নানা দু:সংবাদের মধ্যে তাই আর্জেন্টিনার বিজয় বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে ছিলো বড় পাওয়া।
আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে অবশেষে ট্রফি জিতে নিলেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনা শেষবার কোপা আমেরিকা কাপ জয় করে ১৯৯৩ সালে। ২০১৪ সালের বিশকাপ ফুটবলের ফাইনালে ব্রাজিলের এই মারাকানা স্টেডিয়ামেই জার্মানির কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় মেসিরা। আর্জেন্টিনার সেই ক্ষত আজও দগদগে। অবশেষে আজ রবিবার (১১ জুলাই) কাঙ্ক্ষিত জয়টা পেয়ে গেছে আর্জেন্টিনা।
আগেই জানা ছিল, চ্যাম্পিয়ন হতে পারুন বা না পারুন- ব্যক্তিগত সেরা দুটি অর্জন হাতে উঠতে যাচ্ছে লিওনেল মেসিরই। ফাইনালসহ মোট ৭টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এর মধ্যে ৫টিতেই হয়েছেন ম্যাচ সেরা। গোলও করেছেন সর্বোচ্চ ৪টি। অ্যাসিস্ট করেছেন ৫টি। তার নিকটে থাকা লওতারো মার্টিনেজ ফাইনালে কোনো গোলই পাননি।
অর্থাৎ সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বল এবং টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল যে মেসিই পেতে চলেছেন, তা ছিল সহজ হিসাব। অবশেষে সেটিই হলো। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ও সর্বোচ্চ গোলদাতা- দুটো সেরা পুরস্কারই উঠলো মেসির হাতেই।
অবশ্য ২০১৪ বিশ্বকাপেও সেরা খেলোয়াড় হিসেবে মেসি জিতেছিলেন গোল্ডেন বল। তবে সেবার তার মুখে কোনো হাসিই ছিল না। ছিল পরাজয়ের এক গ্লানি।
এবার গোল্ডেন বল ও গোল্ডেন বুটের পুরস্কার হাতে নেওয়ার সময় মেসির মুখে ছিল উৎফুল্ল চওড়া হাসি। এবার যে তার হতাশায় মোড়ানো একটি দিন নয়, বরং সাফল্যে মোড়ানো একটি দিন পেয়ে গেছেন তারা! আর্জেন্টিনা সর্বশেষ কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছিল ১৯৯৩ সালে। তারপর দীর্ঘ ২৮টি বছর পার হলেও আর্জেন্টিনার হাতে শিরোপা ওঠেনি।
মেসি গত দেড়টি দশক ফুটবল বিশ্ব শাসন কর যাচ্ছেন। ২০০৭ সালেও মেসি খেলেছিলেন কোপা আমেরিকার ফাইনাল টুর্নামেন্ট। সেবার ব্রাজিলের কাছে হেরে যান ৩-০ গোলে। তারপর ২০১৪ বিশ্বকাপ, ২০১৫, ২০১৬ কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেও শিরোপা জেতা হয়নি তাদের।
অবশেষে ১৪ বছর পর কোপার ফাইনালে ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়ে বঞ্চিত থাকতে হয়নি মেসিকে। ডি মারিয়ার একমাত্র গোলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিজয়ী দলের অধিনায়ক হিসেবে শিরোপা হাতে তুলে নিলেন লিওনেল মেসি।
বাংলাদেশ সময় আজ (রবিবার) ভোর ৬টায় অনুষ্ঠিত হয় কোপা আমেরিকা ফা্ইনাল খেলা। এই খেলায় ব্রাজিলকে ১-০ গোলে পরাজিত করে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।