দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শোয়ার ঘর হতে হবে ক্লিন। সেখানে ঝামেলাকর কোনো কিছু রাখা মোটেও ঠিক না। এতে করে রাতে আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। আজ জেনে নিন সেই বিষয়গুলো।
শোয়ার ঘর বা আপনার বেডরুম যাতে আপনার জীবনে নেগেটিভ প্রভাব না ফেলে, তার জন্য কি কি করা উচিৎ নয়, সেই বিষয়গুলো নিয়েই আপনার জন্য রইলো আজকে কিছু উপদেশ।
অফিসের কাজ ঘরে নয়
সকাল থেকে বিকাল বা সন্ধা পর্যন্ত সারাদিন অফিসে কাজ করে বাড়িতে ফিরে আমরা কিছুটা শান্তি অন্বেষণ করি। কাজের থেকে একটু হালকা হতেই বাড়িতে আসা। তবে নিজের সঙ্গে সময় দিতেই হোক কিংবা নিজের স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে, অফিসের কাজের চাপ বেডরুম পর্যন্ত আসতে দেওয়া যাবে না। অফিসের কাজের পেপার বা ফাইল সামনে থাকলে অন্তরঙ্গ বা নিভৃত, কোনও মুহূর্তই আপনার জন্য অশান্তির কারণ হতে পারে।
গভীর রাত অবধি টিভি না দেখায় ভালো
বেডরুমে যদি আপনি অবিবাহিত হন তাহলে হয়তো টিভি আপনার জন্য একটা সময় পর্যন্ত আপনাকে সময় কাটাতে সাহায্য করবে সেটি ঠিক। কিন্তু বিবাহিত হলে আপনি কখনই একটা যান্ত্রিক মাধ্যমের বিনোদন আপনার অন্তরঙ্গ মুহূর্তকে নষ্ট করবেন না। আবার অনেক সময় আমরা ঘুম আসছে না এই অজুহাতে টিভি চালিয়ে রাখতে পছন্দ করি। এই স্বভাব আমাদের ঘুমানোর অভ্যাসকে পাল্টে দিতে পারে।
বেডরুম রাখুন নিটেন ক্লিন
আপনার বেডরুমকে যথাসাধ্য রাখুন নিটেন ক্লিন। প্রয়োজন ছাড়া অতিরিক্ত আসবাবপত্র দিয়ে ঘর ভরিয়ে রাখায় ভালো। বিছানার উপর জামাকাপড়ের স্তূপ কিংবা বই এর স্তূপ দিয়ে কখনও ভরিয়ে রাখবেন না।
ইলে্ট্রনিক্স সামগ্রী
ইলে্ট্রনিক্স সামগ্রীকে চেষ্টা করুন বেডরুমের বাইরে রাখতে। শুনতে হয়তো হাস্যকর শোনালেও এটিই সত্যি। কারণ আমরা জানি আজকের দিনে এইসব ইলে্ট্রনিক্স সামগ্রী আমাদের সময় কতোটা নষ্ট করে দেয়।
কৃত্রিম আলো নয়
শোয়ার ঘরে অতিরিক্ত আলো না রাখার চেষ্টা করবেন। মনে রাখবেন আপনার ড্রইং রুম ও বেডরুমের মধ্যে তফাৎ থাকা অত্যন্ত জরুরি। অতিরিক্ত আলো যাতে আপনার শান্তি বিঘ্নিত করতে পারে তাই সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
ঘরে ক্যাকটাস রাখবেন না
বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী বলা হয় যে, বেডরুমে ক্যাকটাস বা অন্য কোনও কাঁটা গাছ কখনও রাখবেন না। কারণ বাস্তু মতে, এতে করে নাকি সম্পর্কের শান্তি বিঘ্নিত হয়। ঘর সাজানোর অন্য ফুল বা বনসাই বা অর্কিড ব্যবহার করতে পারেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।