দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গায়ের রং একটু কালো হওয়ায় অনেকেই বিব্রত বোধ করেন। তারা নানা ধরনের ফেস ক্রিম ব্যবহার করেন। তাতেও কাজ হয় না। কিভাবে খুব সহজে ফর্সা হবেন তা জেনে নিন আজ।
হয়তো বংশগত কারণে আমাদের অনেকেরই গায়ের রং কালো হতেই পারে কিংবা নানা কারণে আমাদের গায়ের রংটা ময়লা হয়ে যেতেই পারে। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, শারীরিক অসুস্থতা কিংবা দীর্ঘসময় রান্নাঘরে কাজ করার কারণেও এমনটি হতে পারে। এইসব কারণে ত্বক হারিয়ে ফেলে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা। আর তখন হয়ে যায় কালচে এবং বিবর্ণ। রং ফর্সাকারী ক্রিমের কদর তাই কমে না কখনই। এসব রাসায়নিক পদার্থের মিশ্রণে তৈরি প্রোডাক্টগুলো ত্বকের নানা রকম ক্ষতি করে থাকে। আসুন জেনে নিই প্রাকৃতিক কিছু উপায়ে কীভাবে গায়ের কালো রংকে উজ্জ্বল করা যাবে, অর্থাৎ কীভাবে ফর্সা হতে পারবেন খুব সহজে।
ফর্সা হওয়ার কয়েকটি টিপস্ আজ জেনে নিন:
# কলা এবং দুধ একত্রে পেস্ট করে মুখে ও ঘাড়ে ১৫/২০ মিনিট রেখেদিন। এরপর পরিষ্কার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক মসৃন করতে কলার কোনো জুড়ি নেই।
# বেসন, লেবুর রস এবং কাঠবাদাম একসঙ্গে পেস্ট করে ১০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন। বেসন ও লেবুর রস মুখের মৃত কোষ, কালোদাগ দুর করতে সাহায্য করবে। কাজু বাদাম ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
# মধুর ঔষধি গুণ রয়েছে অনেক। ত্বক উজ্জ্বল এবং মসৃন করতে মধু খুবই কার্যকর। দই, মধু এবং লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে ২০/২৫ মিনিট ধরে মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। এতকিছু হাতের কাছে না পেলে শুধু মধু ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত এটি করলে কিছুদিন পরেই দেখতে পাবেন আপনার ত্বক আগের থেকে অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়েছে।
# আলু বা টমেটো সবজী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটিও এক একটা রং ফর্সাকারী এজেন্ট। আলু ও টমেটো পেস্ট প্রতিদিন ব্যবহার করলে আপনি সহজেই পেতে পারেন দ্যুতিময় ত্বক।
# মসুরের ডাল, দুধ লেবুর রস ও চালের গুড়া একসঙ্গে পেস্ট করলেই হয়ে যাবে সুন্দর এবং কার্যকরী স্ক্রাব। সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করুন। আপনার ত্বক হবে আরও উজ্জ্বল ও পরিষ্কার।
# ডিমের সাদা অংশ এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে ২০ মিনিট মুখে মেখে রাখতে হবে। এরপর ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল এবং টান টান ভাব আনতে সাহায্য করবে এই ফরমুলাটি।
# ১ চামচ চিনির সঙ্গে ২ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে আলতোভাবে মুখে ডলতে থাকুন যতোক্ষণ পর্যন্ত চিনি পুরোপুরি গলে না যাবে। এমনকি পুরো শরীরেও এটি লাগাতে পারেন।
# আপনার মুখে যদি ব্রনের দাগ থাককে তাহলে কর্ণফ্লাওয়ার ও শসার মিশ্রন তৈরি করে প্রতিদিন মাখতে থাকুন। এতে দ্রুত ভালো ফল পাবেন আপনি।
# শিশুদের মতো কোমল এবং মসৃন ত্বক পেতে ২ চামচ চিনির মধ্যে ৩ চামচ বেবী ওয়েল দিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে নিয়মিত ব্যবহার করুন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।