দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিজ ঘরের সঙ্গে রয়েছে মনের এক নিখাদ গভীর সম্পর্ক। তাই আপনার ঘরটি সাজিয়ে তুলুন আপনাপর পছন্দমতো ভালবাসা দিয়ে এবং শৈল্পিক মননে।
যারা নতুন দম্পতি তাদের ক্ষেত্রে তো ভালোবাসার নিখাদ সংমিশ্রণ থাকা আরও বেশি জরুরি। হয়তো ভাবছেন কীভাবে সাজাবেন আপনার ঘরটি? আজ সেই বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করা হবে।
নতুন সংসারে দেওয়ালের রং থেকে শুরু করে আসবাবপত্র; সবকিছুতেই লেগে থাকে যেনো নতুনত্বের এক ছোঁয়া। জায়গা সীমিত হলেও যদি একটু মনোনিবেশ করতে পারেন তাহলে ছোট্ট সংসারকে ছিমছামভাবে সাজানো কোনো সমস্যাই হবে না। তবে ঘর সাজানো মানেই যে খরচ, তা কিন্তু মোটেও নয়। অল্প ব্যয়েও মার্জিত করে সাজিয়ে নেওয়া সম্ভব নিজের ফ্ল্যাট কিংবা ছোট ঘরটি। কিভাবে পরিকল্পনামাফিক তা করা যায় সেটি নির্ধারণ করতে হবে দুজন মিলে। দুজনের সিদ্ধান্ত এক করে তবেই এই কাজটি করতে হবে।
আপনাদের নতুন সম্পর্কের দায়িত্ববোধের ক্ষেত্রে যেমন দুজনের মিল থাকা প্রয়োজন, ঠিক তেমনি পারস্পরিক পছন্দের প্রতিও আস্থা ও সম্মান থাকা দরকার। তবে অন্দরের খুঁটিনাটি এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে কিছু কিছু বিষয় রয়েছে যা চিরাচরিত রীতিনীতিতেই গড়ে উঠা দরকার। যেমন, নতুন সংসারে মেহমানের আপ্যায়ন শুরু হতে হবে লিভিং রুম কিংবা বসার ঘর থেকেই। তাই বসার ঘরের আয়তনের দিকে লক্ষ্য রেখে সাজানোর জন্য আপনাকে বেশি সচেতন হতে হবে। আপনার ঘরটি ছোট হলে গাদাগাদি করে আসবাবপত্র রাখার কোনোই দরকার নেই। বসার ঘরের সোফাও একটু পরিকল্পিতভাবে বসানো দরকার, যাতে করে অল্প পরিসরেও অতিথিরা আরাম করে বসতে পারেন।
আপনার বসার ঘরের দেওয়ালে বিভিন্ন পেইন্টিংসও ঝুলিয়ে রাখুন। তাছাড়াও তৈরি করতে পারেন ‘ফিচার ওয়াল’ বা ইলিউশনও। তবে ইলিউশন ব্যবহারে কিছুটা সতর্ক হওয়া দরকার। কেনোনা সব ঘরে সব ধরনের ইলিউশন অবশ্য মানায় না। দেওয়ালে ভুল ইলিউশনের ব্যবহার মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাবও ফেলতে পারে। দেওয়াল একটু উজ্জ্বল রঙে রাঙিয়ে বা বিভিন্ন ধরনের রাফ টেক্সচার করে তাতে স্পটলাইটের ব্যবস্থা করে টাঙিয়ে রাখতে পারেন প্রিয় মুহূর্তের ছবিগুলোকে। তাতে আপনার অন্দরের সৌন্দর্যের সঙ্গে সঙ্গে ঘরময় ছড়িয়ে থাকবে ভালোবাসার দূতি।
ঘরের স্নিগ্ধতা আনতে হলে পর্দাকেই সবার আগে বেছে নেওয়া হয়। মনে রাখবেন উজ্জ্বল রংই ঘরকে আরও বেশি প্রাণবন্ত করে রাখবে। তাই উজ্জ্বল রঙের ফ্লোরাল প্রিন্টে রাঙিয়ে তুলতে পারেন আপনার রুমগুলো। হলুদ, কমলা, লাল, সবুজ কিংবা কালচে লাল রঙের ফ্লোরাল প্রিন্টও বেছে নিতে পারেন পর্দার ক্ষেত্রে। পর্দার রঙের সঙ্গে মিলিয়ে বসার ঘরের কুশন কভারও বানিয়ে নিতে হবে বিভিন্ন ধরনের ফ্লোরাল প্রিন্টের। সোফার কভারের ক্ষেত্রে যদি আপনি ফ্লোরাল প্রিন্ট ব্যবহার করতে না চান তাহলে এক্ষেত্রে একটু গাঢ় রং বেছে নিতে পারেন। তবে কুশন কভার ফ্লোরাল প্রিন্টের থাকলে সোফার কভার এক রঙের হলেই মানাবে ভালো।
রঙের স্বাচ্ছন্দ্য একেকজনের ক্ষেত্রে একেকরকম হয়ে থাকে। যেমন, গাঢ় উজ্জ্বল রঙের অনুভূতি এই ধরনের হয়, হালকা রঙের অনুভূতি হয় আরেকধরনের। গাঢ় রঙের সমন্বয় হলে মানুষের মনের উপর তা প্রভাবও ফেলবে। কারণ হলো গাঢ় রং সবসময় নজর কাড়ে। হালকা রঙের সমন্বয় সাধন করলে তা মনকে আরও প্রফুল্ল করবে তাতে সন্দেহ নেই।
আসবাবপত্র দিয়ে ঘর কানায় কানায় ভরিয়ে ফেলতে হবে এমন কিছু নয়! ঘর সাজাতে প্রতি রুমের আয়তন অনুযায়ী আসবাব কেনায় ভালো। দরকারের বেশি আসবাবে ঘর বোঝাই না করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। ঘর যতো ছোটই হোক না কেনো, অন্তত একটি-দু’টি গাছ অবশ্যই রাখার চেষ্টা করবেন। কারণ গাছের সবুজ রং আপনার চোখকে আরাম দেবে। নানান ধরনের গাছের বৈচিত্রতা, সজীবতা মনকে করে তুলবে এমনিতেই উৎফুল্ল এবং উষ্ণ আমেজমুখর। ঘরের বিভিন্ন কোণে পৃথক করে সাজাতে পারেন ছোট-বড় বিভিন্ন আকৃতির পটারি, ড্রাই স্টিক বা ক্যান্ডেল স্ট্যান্ড। আবার তাজা রঙিন ফুলও ভালোবাসার নিদর্শন স্বরূপ রাখতে পারেন। বাড়ির অন্দর রঙিন, উষ্ণ হয়ে উঠতে পারে এইসব সামান্য ফুলের ছোঁয়ায়। তাজা ফুল আসলে কোথায় সাজাবেন, কিভাবে সাজাবেন তার সুনির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই। তাজা রঙিন ফুল নিজেদের পছন্দ ও খুশিমতো সাজিয়ে আপনার অন্দর মহলকে এক রোমান্টিক আবহেরও সৃষ্টিও করতে পারেন। তাহলে আর দেরি কেনো আপনার সঙ্গীকে নিয়ে সাজিয়ে তুলুন আপনার ঘর বা ছোট্ট অন্দর মহলটি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।