দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ফল খাওয়ার অনেক নিয়মনীতি থাকে। তারা চাইলেই যে কোনো ফল খেতে পারেন না। তবে কিছু ফল রয়েছে যেগুলো ডায়াবেটিস রোগীরাও খেতে পারবেন।
কিছু ফল রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যেমন আম, কলা, লিচু। এসব ফলে জিআই কিংবা ইনডেক্স উপরের দিকের তালিকাতে পড়ে। সে কারণে এইসব ফল ডায়াবেটিস রোগীদের এড়িয়ে চলতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে যে সব ফল ক্ষতিকর তা অবশ্য নয়। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন’র তথ্য মতে, কিছু ফলে উপকারী ভিটামিন ও ফাইবারও রয়েছে। এইসব উপাদান টাইপ টু ডায়াবেটিস দূরে রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। আজ জেনে নিন ডায়াবেটিস রোগীরা কোন ফলগুলো নির্দ্বিধায় খেতে পারেন।
আপেল
বছরের প্রায় সময়ই বর্তমানে আপেল পাওয়া যায়। আপেলের গুণ সম্পর্কে বোধ হয় নতুন করে বলার কিছু নেই। এতেও ফাইবারের পরিমাণ অধিকমাত্রায় থাকায় আপেল খাওয়ার কারণে দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। তাছাড়াও আপেলে রয়েছে ভিটামিন-সি।
জাম
জাম সিজেনাল ফল। এটি সারাবছর পাওয়া যায় না। তবে এই জামে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি থাকায় শরীরের জন্য অত্যন্ত ভালো একটি ফল। সেইসঙ্গে স্ট্রবেরিসহ অন্যান্য জামজাতীয় ফলও খাওয়া যেতে পারে। ফল কিংবা সালাদ হিসেবে চেরি, স্ট্রবেরি এবং জাম ইত্যাদি নিয়মিতভাবে খেতে পারেন। এতে বেশ উপকারও পাবেন ডায়াবেটিস রোগিরা।
পিচ
খুবই উপকারী একটি ফল পিচ ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। নিয়মিত খাওয়ার কারণে শরীরের বিপাক হার বৃদ্ধি করতেও সহায়তা করে এই ফল। যাদের স্মুদি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তারা রোজ সকালে দই বা ঘোলের সঙ্গে সামান্য দারচিনি গুঁড়ো, হালকা আদা ও কয়েকটি পিচের টুকরো দিয়ে স্মুদি তৈরি করে নিতে পারেন।
নাসপাতি
অনেকেই মনে করেন নাসপাতিতে কোনো গুণই নেই। এই ধারনা একেবারেই ভুল। নাসপাতিতে ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি রয়েছে। তাই ডায়াবেটিক ডায়েটে নাসপাতি রাখা যেতে পারে। এমনকি ফ্রুটস সালাদেও রাখা যেতে পারে এই ফলটি। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।