দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীত এলেই অনেকের শ্বাসকষ্ট এবং কাশি বেড়ে যায়। এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করে থাকেন। তবে মধু খাওয়ার একটি নিয়ম রয়েছে। জেনে নিন সেই নিয়ম।
মধু অবশ্যই রোগ প্রতিরোধে একটি কার্যকরী ওষুধ তাতে সন্দেহ নেই। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ভাইরাল। তাছাড়াও সর্দির জন্যও ভালো কাজ করে এই মধু। বিশেষ করে সাইনাস এবং কনজিস্টেশন পরিষ্কার করে এই মধু।
তবে ৪২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের ওপর হলে মধুর গুণ পরিবর্তন হয়ে বিষাক্ত হয়ে যেতে পারে। তাই আপনি যখন গরম পানিতে মধু মেশাবেন বা চায়ের জন্য ‘প্রাকৃতিক’ মিষ্টি হিসেবে চিনির পরিবর্তে ব্যবহার করেন, তখন খেয়াল রাখতে হবে যাতে করে অতিরিক্ত গরম না হয়।
পানি বা চা কিছুটা ঠাণ্ডা না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ গরম পানি বা চা-এর তাপমাত্রা অবশ্যই ৪২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নিচে থাকতে হবে। এই রকম অবস্থায় মধু মিশিয়ে পান করতে হবে।
অনেকেই ঘুম থেকে ওঠেই গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করেন, যা শরীর সতেজ করে ও শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সহায়তাও করে। তাদের উচিত অবশ্যই হালকা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করা।
আবার যাদের ওজন বেশি তারা গরম পানি, লেবুর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়েও পান করতে পারেন। প্রতিদিন সকালে এই পানীয় পান করলে শরীর হতে টক্সিন বের হয়ে যায়। দীর্ঘ মেয়াদে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা রাখে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।