দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রমজান এসে গেছে। আর এই গরমের দিনে কম-বেশি সকলেরই হজমের সমস্যা লেগে থাকে। এই সময় কোন পানীয়তে পাওয়া যাবে সুফল?
ইতিমধ্যেই জাঁকিয়ে বসেছে গরম। সূর্যের চোখ রাঙানিতে প্রাণ যায় যায় অবস্থা হয়েছে। এমন এক অবস্থা চলছে রোজ। এই পরিস্থিততে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে ভুলবেন না। প্রচণ্ড আর্দ্রতার কারণে আমাদের বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে ঘাম ঝরছে। যে কারণে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগতভাবে। শরীরে সেই পানি ফিরিয়ে না দিতে পারলেই মুশকিল। বাড়তে পারে সান স্ট্রোক বা হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিও।
ডাবের পানি
ডাবের পানি ইলেকট্রোলাইটের খুব ভালো একটি উৎস। গরমের দিনে নিয়মিত ডাবের পানি খেলে শরীরে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকিও কমে। পেট ঠাণ্ডা থাকে। ডাবের পানি শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের ভারসাম্যও বজায় রাখে। তাছাড়াও এই পানিতে ফাইবার, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ভরপুর মাত্রায় থাকে। তাই এই গ্রীষ্মের দিনে ডাবের পানি খেলে তাতে শরীর চাঙ্গা থাকে।
দইয়ের ঘোল
এই গরমের দিনে কম-বেশি সকলেরই হজমের সমস্যা লেগেই থাকে। এই সমস্যা দূর করতে এই সময় খাওয়ার পাতে টক দই রাখতে কখনও ভুলবেন না। নিয়মিত দইয়ের ঘোল খেতে পারলে আরও ভালো ফল পাবেন। সামান্য বিটলবণ, ভাজা জিরে গুঁড়ো ও হিং দিয়ে দইয়ের ঘোল খেতে ভালো লাগে।
কাঁচা আমের শরবত
আম উঠতে শুরু করেছে। কাঁচ আম শরীর হতে দূষিত পদার্থগুলি দূর করতে বেশ উপকারী। কাঁচা আমের শরবত খেলে শরীরে তাপপাত্রার ভারসাম্যও বজায় থাকে। কাঁচা আম ভিটামিন এ, বি ১, বি ২ আর সি-তে ভরপুর থাকে। তাছাড়াও এতে থাকে পটাশিয়াম, সোডিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ উপাদান। গ্রীষ্মের দিনে ত্বকের সংক্রমণ হতে বাঁচতেও খাদ্যতালিকায় কাঁচা আমের শরবতে রাখতে পারেন প্রতিদিন।
ছাতুর শরবত
ছাতুর মধ্যে রয়েছে প্রচুর আয়রণ, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়ামের মতো নানা ধরনের জরুরি উপাদান। ছাতুর শরবত শরীরের উষ্ণতা ঝটপট কমিয়ে আনতে পারে, যে কারণে গরমের দিনে এর জুড়ি মেলা ভার। পেটের সমস্যা হলেও এই শরবত খেলে উপকার পেতে পারেন।
আখের রস
গরমের এই দিনে আখের রস খুবই সহজলভ্য একটি পুষ্টিকর প্রাকৃতিক পানীয়। এতে রয়েছে আয়রণ, পটাশিয়ামের মতো উপাদানও, যা শরীর চাঙ্গা করতে পারে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই। পাচনতন্ত্রের নানা সমস্যা দূর করতেও এটি ভীষণ উপকারী একটি জিনিস। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।