দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মাইগ্রেন প্রকৃতপক্ষে জিনঘটিত রোগ। মস্তিষ্কের ট্রাইজেমিনাল স্নায়ু উত্তেজিত হলে এই ব্যথা হয়ে থাকে। কিছু অভ্যাসের কারণে বিপদ আরও বাড়াতে পারে।
প্রচণ্ড মাথা যন্ত্রণা সঙ্গে গা গোলানো বা মাথার এক পাশ থেকে শুরু হয়ে গোটা মাথায় সেটি ছড়িয়ে পড়া অসম্ভব ব্যথা, সঙ্গে থাকে হালকা জ্বর। এই উপসর্গগুলো মাইগ্রেনের রোগীদের কাছে নতুন কিছু নয়। একটানা বেশ ক’দিন থাকার কারণে এই ব্যথা শরীর একেবারে কাবু করে দেয়। গরমের দিনে সূর্যের প্রখর তাপে এমনিতেই মাথা যন্ত্রণার সম্ভাবনাও বাড়ে। তার উপর যদি হয় মাইগ্রেনের কষ্ট, তাহলে তা এক প্রকার অসহনীয় হয়ে ওঠবে।
এই ব্যথার প্রকৃত উৎস কী?
মাইগ্রেন প্রকৃতপক্ষে জিনঘটিত রোগ। পরিবারের কারও এটি থাকলে, হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। মস্তিষ্কের ট্রাইজেমিনাল স্নায়ু উত্তেজিত হলে এই ব্যথা হয়ে থাকে। সেরেটোনিন নামক রাসায়নিকের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলেও এই ব্যথা হয় বলে মত দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা মনে করেন, কেবল ওষুধ কিংবা প্রয়োজনীয় সাবধানতা না নিলেই যে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে, এমনটি কিন্তু নয়। বরং আমাদের দৈনিক অনেক অভ্যাসের উপরেও নির্ভর করে এই ব্যথার প্রকোপ বাড়বে নাকি কম থাকবে। প্রতি দিনের বেশ কিছু অভ্যাস ত্যাগ করলে অনেকটা দূরে রাখা যায় এই যন্ত্রণাদায়ক অসুখটিকে।
মানসিক চাপ
মাথার মধ্যে সারাক্ষণ অফিসের চাপ, পারিবারিক সমস্যা- এই ঘটনাগুলো বর্তমানে আমাদের নিত্য সঙ্গী। যে কারণে বাড়তে থাকে মানসিক চাপ। চিন্তা, উদ্বেগ এবঙ মানসিক চাপ মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হয়।
ঘুমের অনিয়ম
প্রতিদিনই চেষ্টা করুন ঘুমের জন্য অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা বরাদ্দ রাখতে। একান্তই না পারলে অন্তত ৬ ঘণ্টা আপনাকে ঘুমাতেই হবে। কোনো কারণে এক দিন কম ঘুমালেন, কোনও এক দিন বেশি ঘুমালেন এমন না করে ঘুমের মাত্রা সমান রাখার চেষ্টা করতে হবে।
চিনি এড়িয়ে চলুন
অতিরিক্ত চিনি দেওয়া রয়েছে এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। খাদ্যতালিকায় যতো কম চিনিজাতীয় খাবার রাখবেন ততোই আপনার জন্য ভালো। রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়লে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়।
আবহাওয়া
চড়া রোদ কিংবা কনকনে ঠান্ডাণ্ডা- দুটিই মাইগ্রেনের জন্য খারাপ। তাই এমন হাওয়ায় আপনাকে একটু সাবধানে থাকতে হবে। এই সময় ব্যায়ামের শরণ নিতে পারেন, যার প্রভাবে মাইগ্রেনও দূরে থাকতে পারে।
কফির অভ্যাস
কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা হঠাৎ করে বন্ধ করবেন না। হু-এর এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাইগ্রেনের রোগীদের ক্যাফিনের উপস্থিতি হঠাৎ করে বন্ধ করে দিলে সমস্যা সৃষ্টি হয়। আবার মাত্রারিক্ত ক্যাফিনও মাইগ্রেনের রোগীদের জন্য মোটেও ভালো নয়। তাই কফি খেতে হবে পরিমিত মাত্রায়।
দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকা
দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে অ্যাসিডিটির সমস্যা শুরু হতে পারে। মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ানোর ক্ষেত্রে গ্যাসের জুড়ি নেই। তাই কাজের মধ্যেও সময় মতো আপনাকে খেতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।