দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ওজন কমানো এক দীর্ঘ প্রক্রিয়া। আর তাই অনেকেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, সকালের কয়েকটি সহজ অভ্যাস পরিশ্রম ছাড়াই ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
মোটা হয়ে যাওয়ার কারণে ওজন কমিয়ে রোগা হতে চান অনেকেই। সেজন্য পরিশ্রমও কম করেন না। জিমে যাওয়া, মেপে মেপে খাওয়দাওয়া করা, হাঁটাহাঁটি, দৌড়ানো- বিস্তর চেষ্টার পরেও অনেক সময় ওজন কমতে চায় না অনেকের। আবার যদিও কমে তা না কমারই মতো। ওজন কমানোর এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ার কারণে তখন অনেকেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। পুষ্টিবিদরা বলেছেন, এতো পরিশ্রম না করে সকালের কয়েকটি কাজের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে রোগা হওয়ার মূল মন্ত্র।
সকাল শুরু করুন খুব দ্রুত
সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠার উপকারিতা নিয়ে বলায় বাহুল্য। এক জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ৮ ঘণ্টা ঘুমই যথেষ্ট। তার বেশিক্ষণ হলে হজমের গন্ডগোলও দেখা দিতে পারে। দেরি করে ওঠার কারণে নির্দিষ্ট সময় ধরে শরীরচর্চা করাও যায় না। ভেবেচিন্তে স্বাস্থ্যকর সকালের খাবার বানানোও হয়ে ওঠে না। তাড়াতাড়ি বিছানা ছাড়লে একটু সময় নিয়ে ব্যায়াম, প্রাতরাশ সবই নিয়মমাফিক করা হয়।
ধ্যান করা
সারা দিনের জন্য নিজেকে চনমনে তাজা রাখতে মেডিটেশন কিংবা ধ্যানের বিকল্প নেই। ৫/১০ মিনিট ধ্যান করে নিলেই মন ও মাথাও শান্ত থাকবে। শরীরের ভিতর থেকে বেশ শক্তি পাওয়া যাবে। প্রতিদিন ধ্যান করার অভ্যাসে আপনার ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
এক গ্লাস হালকা গরম পানি
এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ গরম পানি খেয়ে সকাল শুরু করলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে। বিশেষ করে রোগা হতে চাইলে গরম পানি বেশ কার্যকর। শরীরের যাবতীয় টক্সিন বের করে দিতে গরম পানির জুড়ি নেই। হজমের উন্নতিতেও ভীষণ সাহায্য করে গরম পানি।
সকালের নাস্তায় প্রোটিন
ওজন কমানোর সময় অনেকেই প্রোটিন ঠিক মতো খানই না। পুষ্টিবিদরা বলেছেন, ভরপুর প্রোটিন রয়েছে এমন খাবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। যে কারণে বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কম যায়। অনেকক্ষণ ধরে শরীরচর্চা করার শক্তিও জোগায় উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ এইসব খাবার।
শরীরচর্চা করা
ওজন কমানোর অন্যতম অস্ত্রই হলো শরীরচর্চা করা। রোগা হতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত শরীরচর্চা করতেই হবে। এর বিকল্পও নেই। জিমে হোক কিঙবা বাড়িতেই হোক, শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বজায় রাখতেই হবে। সকালের দিকে শরীরচর্চা করে নিলে তা ওজন কমানোর প্রক্রিয়াতে বেশ প্রভাব পড়তে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।