দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চকোলেট খাওয়া নিয়ে কতো রকম বিধিনিষেধই না রয়েছে। তবে এবার জানা গেলো চকোলেট খেলেই নাকি কমবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি! এও কী সম্ভব?
অনেকেই চকোলেটের ভক্ত। তবে এক টুকরো চকোলেট খেলেই মনে হয় এই বুঝি বড়ো কোনো অপরাধ করে ফেললেন? তবে এবার শোনা গেলো বিপরিত কথা, ডার্ক চকোলেট আদতে নাকি সুস্বাস্থ্যের দাওয়াই!
ঘণ্টার পর ঘণ্টা শরীরচর্চা করেও মনের মতো করে কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। রোগা হওয়ার জন্য কতোই না স্বার্থত্যাগ করলেন! কেও পছন্দের বিরিয়ানি ছেড়েছেন, কেওবা আবার সাধের রসোগোল্লার মায়াও ত্যাগ করেছেন। তবে চকোলেট? ছোট থেকে বড়, চকোলেট পছন্দ করেন না- এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সুস্থ থাকতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সেরা উপকরণ হলো চকোলেট। ওজন ঝরানোর দাওয়াইও হতে পারে এই চকোলেট! তাই প্রতিদিন চকোলেট খেলে শরীরে ক্ষতি হয়, এমন ধারণা নাকি একেবারেই ভুল।
তবে সেটি কিন্তু মিল্ক চকোলেট নয়, সুস্বাস্থ্য পেতে ভরসা রাখবেন ডার্ক চকোলেটের উপর। ডার্ক চকোলেটের স্বাস্থ্যগুণ শুনলে আপনি নিজেও চমকে যাবেন। আজ জেনে নিন প্রতিদিনের ডায়েটে ডার্ক চকোলেট রাখলে কী কী উপকার পাবেন:
# এই ডার্ক চকোলেট রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি এড়াতে নিয়ম করে এই ডার্ক চকেলেট খেতে পারেন।
# এই ডার্ক চকোলেটের মধ্যে থাকে কোকো যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে আরও সাহায্য করে। কোকোর মধ্যে থাকে ভরপুর মাত্রায় ফ্ল্যাভনয়েড যা মস্তিষ্কে রক্তের সঞ্চালনা আরও বাড়িয়ে দেয়। শরীর-মন চনমনে করে ওঠে, যে কারণে চিন্তাশক্তি এবং কার্যক্ষমতা আরও বেড়ে যায়। অনেক বিজ্ঞানী আবার এও মনে করেন, দীর্ঘদিন স্মৃতিশক্তি অটুট রাখতেও এই চকোলেট দারুণভাবে উপকার করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যে সব মহিলা অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বেশি ডার্ক চকোলেট খেয়ে থাকেন, তারা নাকি মানসিক চাপ মুক্ত থাকেন।
# এই ডার্ক চকোলেটকে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে থাকে। প্রতিদিন দু’-তিন টুকরো চকোলেট খেলে তা হৃদযন্ত্রের জন্য খুবই ভলো। ডার্ক চকোলেটে থাকা কোকো রক্তে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করে।
# বার্ধক্যের প্রভাব কমাতেও ডার্ক চকলেটের অনেক গুণ রয়েছে। তাই যারা বয়স বাড়ার প্রভাবকে কমাতে চান, তারা অবশ্যই ডার্ক চকলেট খান। এটি অ্যান্টি-এজিং এজেন্ট হিসেবেও কাজ করে। ডার্ক চকোলেটে যে বায়োঅ্যাক্টিভ পদার্থ থাকে তা ত্বকের পক্ষে খুবই উপকারী হতে পারে। ত্বকে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে ত্বক উজ্জ্বল দেখাতে আরও সাহায্য করে এই ডার্ক চকোলেট।
# এই ডার্ক চকোলেট খেলে মিষ্টি, নোনতা, ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে আসে। সে কারণে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক টুকরো ডার্ক চকেলেট খেয়ে ফেলতে পারেন। এতে করে ওজন থাকবে আপনার নিয়ন্ত্রণে ও মিষ্টি খাওয়ার সাধও তখন পূরণ হবে।
# ডার্ক চকোলেট খেলে ধমনীতে নাইট্রিক অক্সাই়ড তৈরি হয়ে থাকে। যে কারণে মস্তিষ্ক ধমনীকে খানিক বিশ্রাম নেওয়ার বার্তাও পাঠায়। যে কারণে রক্ত চলাচল আরও সহজ হয় ও রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।