দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তিরিশ না পেরুতেই মুখের চামড়া কুঁচকে যাচ্ছে? এতো কম বয়সেই। আপনি বুঝতে পারছেন না কেনো এমন হচ্ছে। কয়েকটি অভ্যাস এমন সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
তিরিশে পেরুনোর আগেই ঠোঁটের পাশে দাগ পড়ছে। কপাঁলের চামড়াতেও দেখা যাচ্ছে ভাঁজ? এই সব কিছুই বয়সের ছাপ। তবে এতো কম বয়সে কেনো হচ্ছে এমন?
তবে আপনার চামড়া কুঁচকে যাওয়ার কারণ হতে পারে একেবারেই অন্য কারণে। কয়েকটি অভ্যাসের কারণে খুব কম বয়সেই বলিরেখা পড়তে শুরু করে অনেকের ত্বকে। যত্ন নিলেই মুক্তি পাওয়া যাবে এই ধরনের সমস্যা থেকে।
ত্বকের যত্ন নেওয়ার পদ্ধতিতে কোনও ভুল রয়েছে কি না, তা আগে দেখে নেওয়াটা জরুরি। সেইসঙ্গে জেনে নিন, কি কি কারণে কম বয়সে ত্বকে দাগ পড়ে যেতে পারে।
# মেক-আপ করা এবং তোলার পদ্ধতিতে অনেক সময়ে গোলমাল থাকতে পারে। যেমন চোখ প্রায় কপালে তুলে কাজল পরার অভ্যাস করা, মাস্কারা কিংবা আইলাইনার লাগানোর অভ্যাস রয়েছে অনেকের মধ্যে। তার জেরে কপালের চামড়া কুঁচকে যায় বহু ক্ষেত্রেই। মেক-আপ তোলার সময়ও অনেকেই আবার এমন কাজ করে থাকেন। এভাবে নিয়মিত চলতে থাকলে কপালে ভাঁজ পড়ে।
# অনেকেই আবার রোদচশমাও ব্যবহার করেন না। রোদে বেরোলেই চোখ বন্ধ হয়ে আসে। বেশি আলোয় তাকাতে গেলেও চোখ পিটপিট করেন। এতে সমস্যা আরও বাড়ে। কথায় কথায় চোখ কুঁচকে গেলে মুখের ত্বকে তখন ভাঁজ পড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়।
# খুব তুষ্ঠ কোনও কথায় ভুরু কুঁচকে যায়? অথবা নাক-মুখ কুঁচকে হাসার অভ্যাস রয়েছে আপনার? এই সবের জেরেও ভাঁজ পড়ে যেতে পারে ত্বকে। বিশেষ করে কপাল ও মুখের চারপাশে দাগ পড়ে যেতে পারে খুব কম বয়সেই।
তবে একটি বিষয় হলো খুব কম সময়ে অর্থাৎ রাতারাতি এইসব অভ্যাস বদলে ফেলা খুব সহজ কাজ নয়। তবে সমস্যার কারণ জানা থাকলে কিছুটা সচেতন হতে পারবেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।