দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেরই সাইনাসের সমস্যা রয়েছে। আর সাইনাসে ভুগলে শ্বাসকষ্টও হতে পারে কোনও কোনও ক্ষেত্রে। এই সমস্যা হতে মুক্তি পেতে প্রাণায়ামের উপর ভরসা রাখা যেতেই পারে।
প্রবল মাথাযন্ত্রণা, সারাক্ষণ নাক-মাথায় ভারি ভাব হয়ে থাকে এমনকি, ব্যথার জেরে জ্বরও চলে আসা- সাইনাসের এই সমস্যাগুলোর সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত। কখনও কাঠফাটা রোদ্দুর কখনওবা আবার ঝমঝম করে বৃষ্টি- মৌসুম বদলের এই সময় সাইনাসের সমস্যা নিয়ে বিচলিত হওয়ার মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। সামান্য নিয়মের এদিক ওদিক হলেই এই সমস্যা মাথাচাড়া দিতে পারে।
সাইনাস হলো মাথার এমন একটি অংশ, যার কাজ হলো নাকের ভিতর দিয়ে বাতাস চলাচলে সাহায্য করা। কোনও কারণে এই সাইনাসের ভিতরে সংক্রমণ ঘটলে বাতাস চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। তখন তীব্র মাথাব্যথা হতে পারে। শ্বাসকষ্টও হতে পারে কিছু কিছু ক্ষেত্রে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রাণায়ামের উপর ভরসা রাখা যেতেই পারে।
কোন কোন প্রাণায়াম করলে সুফল পাবেন তা দেখে নিন:
ভ্রামরি প্রাণায়াম
এই প্রাণায়ামটি করার সময় ভ্রমরের মতো গুঞ্জন হয়, তাই এই নামকরণ করা হয়েচে। দুই হাতের তর্জনি, দুই কানের উপর রাখুন। নাক দিয়ে ধীরে ধীরে একটি গভীর শ্বাস ভিতরে টানতে হবে। এখন মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় গলা দিয়ে নিচু স্বরে একটি ‘হুম’ আওয়াজ করতে থাকুন। এই প্রাণায়াম প্রতিদিন করতে পারলে মানসিক চাপ কমবে, দূর হয়ে যাবে ক্লান্তি। এটি স্নায়ুকে শান্ত করে।
ভস্ত্রিকা প্রাণায়াম
জোরে জোরে শ্বাস নিন। এরপর সম্পূর্ণ শ্বাস ছেড়ে দিন। এ ক্ষেত্রে যতোটা শ্বাস নেবেন, ততোটাই আপনাকে ছাড়তে হবে। সুবিধার জন্য এক থেকে চার গুণতে গুণতে শ্বাস নিন ও এক থেকে চার গুণতে গুণতে আবার শ্বাস ছাড়ুন। ৩ থেকে ৬’মিনিট এই প্রাণায়ামটি করা উচিত। শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, সাইনাসের সমস্যা থাকলে এই প্রণায়াম ভীষণ উপকারী। ফুসফুস শক্তিশালী হয়ে ওঠে। প্রচুর অক্সিজেন প্রাপ্ত করার কারণে হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে।
অনুলোম বিলোম
একটি অন্যতম কার্যকর প্রাণায়াম হলো এই অনুলোম বিলোম। এই প্রাণায়ামটি হৃদযন্ত্র এবং ফুসফুসের খেয়াল রাখতে পারে। এইক্ষেত্রে একটি আঙুল দিয়ে এক দিকের নাক বন্ধ রেখে অন্য নাক দিয়ে শ্বাস নিতে হবে। এরপর সেই নাকটি বন্ধ করে অন্য নাকটি খুলে তারপর শ্বাস ছাড়ুন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।