দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক সময়ই দেখা যায় কপাল, নাক ও গালের রোমকূপ বড় হয়ে গর্তের মতো দেখতে লাগছে। তখন ত্বক শিথিল এবং বয়স্ক দেখায়। কীভাবে এর সমাধান করবেন।
বর্ষার মৌসুমটি এমন- কখনও চড়া রোদ, আবার কখনও পড়ছে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। এই সময় ত্বকের সমস্যা নিয়ে নাজেহাল হতে হয় অনেককে। ত্বকের উপর ভাগে বেশ কিছু ছোট ছোট ছিদ্রও থাকে। এই ছিদ্রগুলো ত্বককে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও সাহায্য করে। আর্দ্রভাবও ধরে রাখে। আর ত্বককে ঠাণ্ডা রাখে। এগুলো এতোই ছোট ছোট যে, খালি চোখে দেখতে পাওয়ার কথায় নয়। তবে অনেক সময়ই কপাল, নাক এবং গালের রোমকূপ বড় হয়ে গর্তের মতো দেখতে লাগে। আর তখন ত্বক শিথিল এবং বয়স্ক দেখায়। ত্বকের ছিদ্র বড় হলে তাতে ধুলোময়লাও জমে। আর হরমোনের সমস্যা থাকলে, অতিরিক্ত ধূমপান করলে কিংবা বংশগত কারণেও রোমকূপ বড় হয়ে যায়। ত্বক অপরিচ্ছন্ন রাখলেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। যে কারণে ত্বক সারাক্ষণ তৈলাক্ত থাকে। আর তখন ব্রণ, র্যাশের সমস্যাও বাড়তে থাকে। কাজেই আপনাকে রোমকূপ বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। কীভাবে হবে এর সমাধান?
# ডিমের সাদা অংশ দিয়ে, ওটমিলের গুঁড়ো এবং সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে নিন। এটি মুখে লাগিয়ে বেশ কিছুক্ষণ মালিশ করুন। ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে এই প্যাকটি দারুণ উপকারী। প্যাকটি লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। শুকিয়ে গেলে ভেজা কাপড় দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। ত্বক পরিষ্কার থাকলে মুখের রোপকূপেও তখন ময়লা জমবে না। ধীরে ধীরে এগুলো অদৃশ্য হবে।
# মেকআপ সামগ্রী বাছাই করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। খুব প্রয়োজন না পড়লে মেকআপ কম করাই ভালো। রোদে-বেরোনোর পূর্বে সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না। বাইরে থেকে ঘুরে এসে আগে মুখ পরিষ্কার করতে হবে।
# সকালে ঘুম থেকে উঠে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে তাজা অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন। বাজারের অ্যালোভেরা কোনো জেল নয়, বাড়ির গাছের রস লাগাতে পারলে ফল দেবে আরও বেশি। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার পাশাপাশি ছিদ্রের আকার ছোট করে দেবে। আপনি ১০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলবেন। এতে করে আপনার ত্বক টানটান হয়ে আসবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।