দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাড়ির কোনও এক সদস্যও যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে পড়েন, সে ক্ষেত্রে পরিবারের ছোটদের প্রতি বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। তাহলে কখন সতর্ক হবেন?
বাড়ির কোনও সদস্যের ডায়াবেটিস থাকলে অনেক সময় পরিবারের ছোট সদস্যদেরও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। বাড়ির কোনও একজন সদস্যও যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে পরিবারের ছোটদের প্রতি বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা একান্ত দরকার। চিকিৎসকরা বলেছেন, টাইপ-১ ডায়াবেটিসের জেরে শিশুদের বার বার মূত্রত্যাগ, অতিরিক্ত খিদে লাগা, তৃষ্ণা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যে কোনও ভাইরাল সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও তখন বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে পড়াশোনা, খেলাধুলোসহ সব কাজে।
কোন কোন লক্ষণ দেখলে আপনাকে সতর্ক হতে হবে?
# আপনার শিশু সন্তানের কী বার বার পানির তেষ্টা পাচ্ছে? এটিও ডায়াবিবেটিসের লক্ষণ। ডায়াবেটিসের কারণে জিভে লালার পরিমাণ তখন কমে যায়। সেই কারণে গলা শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যাও হয়ে থাকে। আর তখন বার বার পানি তেষ্টা পায়। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থাকলে তা থেকে গলায় জ্বালা, আলসার, সংক্রমণ পর্যন্তও হতে পারে।
# আপনার শিশু সন্তানের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে? এটি কেবল টিভি দেখার কিংবা মোবাইল ঘাঁটার ফল নাও হতে পারে। ডায়াবেটিস শরীরে বাসা বাঁধলেও চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
# আপনার শিশু সন্তানের দাঁত মাজতে গিয়ে দেখছেন মাড়ি হতে রক্ত পড়ছে? আপনি হয়তো ভাবছেন ব্রাশ বদলালেই ঠিক হয়ে যাবে। তবে ডায়াবেটিস থাকলে মাড়িতে প্রদাহ হয় ও মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে। সময়ে এর ঠিকমতো চিকিৎসা না করালে মাড়িতে সংক্রমণও হতে পারে।
# আপনার শিশু সন্তান বার বার প্রস্রাব করাও ক ডায়াবেটিসের লক্ষণ। সন্তান যদি বার বার বাথরুমে যেতে থাকে, তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে তার রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেছে।
# আপনার শিশু সন্তানের শরীরে মাঝেমধ্যেই র্যাশ বেরোচ্ছে? গায়ে হাতপায়ে কালো ছোপ পড়ছে? তাহলে সতর্ক হতে হবে। আপনার শিশু সন্তানের মুখের ভিতরের অংশ, জিভে মাঝে-মধ্যেই ঘা হলে কিংবা জ্বালা করলে বিষয়টি কখনও এড়িয়ে যাবেন না। ডায়াবেটিসের কারণেও কিন্তু এমন ঘটতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।