দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মুখের ঘা বা আলসারে অনেকেই ভোগেন। কিছুদিন ভালো থাকেন, আবারও সেই ঘা ফিরে আসে। সেক্ষেত্রে ঘরোয়া উপায়ে নারকেল তেল, অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারে মুখে ঘা বা মাউথ আলসার কমতে পারে।
মুখের ঘা যার হয় শুধু সেই জানে এর কতোটা যন্ত্রণা। মুখে ঘা হলে কোনো কিছুই খাওয়া যায় না। বিশেষ করে ঝাল জিনিস খেতে বেশি সমস্যা হয়। এমনকী খুব ব্যথাও হয়। অনেকেই মুখের আলসার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করতে বেশি পছন্দ করেন।
এখন প্রশ্ন হলো, কেনো মুখে ঘা হয়? মুখে ঘা হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে শরীরে ভিটামিনের অভাব হলো এই অসুখের অন্যতম কারণ। দেখা গিয়েছে যে, বি ভিটামিনের অভাবে মুখে ঘা হয়ে থাকে। তাছাড়াও অনেকের আবার অন্ত্রের নানা সমস্যার কারণেও মুখে বা মাউথ আলসার হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে সতর্ক হয়ে যাওয়াটা খুবই জরুরি। কারণ হলো মাউথ আলসারের যেমন কারণ, সেই মোতাবেক চিকিৎসাও প্রয়োজন।
তবে চিকিৎসা করার পূর্বে ঘরোয়া কয়েকটি ব্যবস্থা নিলে বেশি ভালো হয়। কারণ এই রোগ সেরে যাওয়ার পরও বারবার ফিরে আসে। সেক্ষেত্রে ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করলে অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তিও পাওয়া যেতে পারে।
মুখের ঘা হলে মুখের মধ্যে জায়গাটা প্রথমে লাল হয়। এরপর ঘায়ের ভিতরটা সাদা হয়ে যায়। তখন খুব ব্যথা হয়ে থাকে। এমনকী কিছুই খাওয়া যায় না। সবথেকে বেশি সমস্যা হয় ঝাল জাতীয় খাবার খেতে গেলে। আজ জেনে নিন মুখের ঘায়ের ঘরোয়া চিকিৎসা।
বরফ দিলে মুখের ঘা কমে
আপনি ঘায়ের জায়গায় বরফ দিতে পারেন। দিনে ৪ বারের মতো আইস দিন। দেখবেন ব্যথা অনেকটা কমে গেছে। বরফ দিলে ওই জায়গায় তখন কমতে থাকে রক্ত চলাচল। যে কারণে ব্যথা কমে। এটা মাথায় রাখাটা জরুরি।
নারকেল তেল লাগাতে পারেন
নারকেল তেলেরও আয়ুর্বেদে অনেক ব্যবহার বিদ্যমান। তাই নারকেল তেল ওই জায়গায় লাগান। এই তেলে থাকা লাউরিক অ্যাসিড প্রদাহও দূর করতে পারে। তাই মুখে ঘায়ের সমস্যা কমে।
ব্যবহার করতে পারেন মধু
মধুতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ। সে কারণে আপনি মধু ব্যবহার করতেই পারেন। সেক্ষেত্রে খুব তাড়াতাড়ি ফলও পাবেন। হাতে মধু নিয়ে তা আলতো করে সেই জায়াগাতে লাগাতে পারেন। তাতে করে আলসার কমে আসবে।
অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার
অ্যালোভেরা একটি দারুণ গাছ। এর সব কিছুই আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। এবার আপনি অ্যালোভেরা জেল বাড়িতে তৈরি করে নিতে পারেন। কারণ হলো বাজার থেকে কেনা অ্যালোভেরা জেলে রাসায়নিক মেশানো থাকে। তার বদলে বাড়িতে তৈরি করা এই জেল আপনি মুখের ঘায়ে লাগান। এতে আপনি ভালো উপকার পাবেন। তথ্যসূত্র: এই সময়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।