দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সকালে ঘুম থেকে উঠেই চোখ খুলে চায়ের কাপে চুমুক না দিলে চলে না অনেকের। এই চা কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে।
তবে সাধারণ চা খেলে হবে না, খেতে হবে কমলালেবুর খোসা দেওয়া বিশেষ এক চা। কারণ ওজন ঝরাতেও সাহায্য করে কমলালেবুর খোসা দিয়ে বানানো এই চা।
শীতের সকালেই হোক কিংবা সন্ধ্যা, চা না খেলে ঠিক ভালো লাগে না। চা নিয়ে অনেকেই অনেক রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করেন। সাধারণ চায়ের সঙ্গে আদা, গোলমরিচ, দারচিনি, ছোট এলাচ মিশিয়ে খাওয়ার রেওয়াজ তো বহুযুগ ধরেই রয়েছে। তবে এবার নতুন এক ধরনের চা আপনি খেয়ে দেখতে পারেন। বাজারে বর্তমানে এমনিতেই প্রচুর কমলালেবু পাওয়া যায়। এই চায়ের প্রধান উপকরণ হলো কমলালেবুর খোসা। ভিটামিন সি-তে সমৃদ্ধ এই চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে।
সেইসঙ্গে, শীতের সকালে ঘুমে কাটাতে না চাইলে এই চা মুখে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সকালটা সতেজতায় ভরিয়ে তুলবে তাতে সন্দেহ নেই। রোদে কিংবা শুকনো খোলায় কমলালেবুর খোসা একটু নাড়াচাড়া করে নিতে হবে। রস একেবারে শুকিয়ে গেলে মিক্সিতে গুঁড়ো করে সেটি রেখে দিন।
সকালবেলায় উঠে গরম পানিতে আধা চা চামচ এই খোসার গুঁড়ো নিয়ে তা গুলে নিলেই হবে। অবশ্য এই চায়ের সঙ্গে যদি একটু আদা মিশিয়ে নিতে পারেন তাহলে স্বাদ বাড়বে।
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে এই চা খেলে সাধারণ সর্দি-কাশি হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকবে না। তাছাড়াও হজমের সমস্যা কিংবা অ্যাসিডিটি হলে এই চা খেতে পারেন। অনেক উপকার পাবেন। যাদের সকালে ডিটক্স ওয়াটার খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে, তারা এই চা খেলে আলাদা করে অন্য কিছু খাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যে কোনো ধরনের সংক্রমণ ঘটে, এই সংক্রমণ ঠেকাতে কিংবা ওজন ঝরাতেও খেয়ে দেখতে পারেন কমলালেবুর খোসা দিয়ে বানানো এই চা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।