দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হার্ট অ্যাটাকের ধরন নিয়ে সতর্ক থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। বুকে ব্যথার অর্থই হার্ট অ্যাটাক নয়। কোন লক্ষণগুলো দেখে সুরক্ষা নেবেন? কীভাবে সতর্ক হবেন?
বর্তমান সময় অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং কর্মব্যস্ত জীবনে অল্প বয়স থেকেই ক্রনিক অসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই।
সাধারণত উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস, মানসিক চাপ, পরিশ্রম- এগুলো নিত্যদিনের সঙ্গী হলে প্রভাব পড়ে হৃদযন্ত্রেও। এমন কিছু সমস্যা থাকলে হৃদরোগ হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। অনেকের ধারণা যে, একটা বয়স পেরোলে তবেই হৃদরোগের আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা অবশ্য সেই ধারণাকে মোটেও সমর্থন করে না। কমবয়সিদের মধ্যেও হৃদরোগ নিয়ে একটা ভীতি সৃষ্টি হয়েছে। কর্মব্যস্ত জীবনে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে অল্প বয়সেই ক্রনিক অসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই।
চিকিৎসকরা হার্ট অ্যাটাকের ধরন নিয়ে সতর্ক করেছেন। তারা মনে করেন, হার্ট অ্যাটাক সব সময় হঠাৎ হবে এমন নয়। বরং বেশ কিছু উপসর্গ রয়েছে যা দীর্ঘ সময় ধরে আসে না। এই উপসর্গগুলোকে অনেক ক্ষেত্রেই অন্য রোগের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন অনেকেই। বেশ কিছু ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকে সেভাবে কোনও ব্যথাও অনুভব করেন না আক্রান্ত রোগী। তবে ভিতরে ভিতরে কিন্তু ঘটে যায় হার্ট অ্যাটাক।
হার্ট অ্যাটাকের সাধারণ কিছু লক্ষণ হলো বুকে চাপ, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট। এগুলো আসে আবার সেরেও যায়। অনেকেই হজমের সমস্যা থেকে এমন হচ্ছে ভেবে এড়িয়েও যান। মাঝে-মধ্যে বুকে চিনচিনে ব্যথা, তবে হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণই হলো। বুকের বাঁ দিকে ব্যথা তো বটেই, অনেক সময় গোটা বুক জুড়েই চাপ এবং অস্বস্তি অনুভব করেন রোগী। অনেক সময় বুকের পেশিতেও টান পড়ে। সঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা যায় অনেক সময়। খুব অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, সামান্য কাজ করার পরই হাঁপাতে দেখা যায়। এমনকি এক জায়গায় বসে থেকেও ক্লান্তি আসতে পারে এমন অবস্থা হলে। ভুলে গেলে চলবে না যে, এগুলো হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। প্রাথমিকভাবে তা মনে না হলেও, দীর্ঘদিন ধরে এগুলো অবহেলা করলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে কেবল বুকের সম্পর্ক রয়েছে, এমন ধারণা একেবারেই ভুল। হাত, ঘাড়, কাঁধে ব্যথাও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। পেট, এমনকি, চোয়ালে ব্যথা হলেও মোটেও অবহেলা করবেন না। এই অস্বস্তিগুলোর মুখোমুখি হলেই দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্যসচেতন থাকুন। নিয়ম করে শারীরিক কসরত এবং স্বাস্থ্যকর ডায়েটের মধ্যে থেকে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করতে হবে আপনাকেই। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।