দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সিরিয়া আক্রমণের জন্য সীমিত হামলা চালানোর অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন সিনেট। হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত।
সিরিয়া অভিযানে সর্বোচ্চ ৬০ দিন সময় বেধে দিয়েছে সিনেট
সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার খসড়া প্রস্তাব সিনেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে অনুমোদন পেয়েছে। ওই খসড়া অনুয়ায়ী ওবামার প্রস্তাবে সিরিয়া অভিযানের জন্য ৬০ দিন সময় বেঁধে দেয়ার পাশাপাশি স্থলপথে সেনাবাহিনী পাঠানো হবে না বলা হয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই সামরিক হামলা জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাছাড়া মার্কিন জনগণের অধিকাংশই চায় না সিরিয়ায় সামরিক হামলা চালাক যুক্তরাষ্ট্র।
২০ লাখ মানুষ সিরিয়া ছেড়েছে
বাশার আল-আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ এনে যুক্তরাষ্ট্রের নেত্বত্বে হামলার তোড়জোড় শুরুর পর দলে দলে মানুষ সিরিয়া ছাড়ছে। এরই মধ্যে ২০ লাখের বেশি মানুষ শরণার্থী হিসেবে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য প্রকাশ করেছে।এদিকে সিরিয়ায় সামরিক অভিযান শুরু হলে আঞ্চলিক যুদ্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে গোলযোগ দেখা দিতে পারে বলে গত সোমবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ।এমন পরিস্থিতিতে গতকাল সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইউএনএইচসিআর এক বিবৃতিতে জানায়, সিরীয় শরণার্থীর সংখ্যা এক বছর আগের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে। সীমান্ত অতিক্রম করে দলে দলে নারী, শিশু ও পুরুষ অন্যান্য দেশে আশ্রয় নিচ্ছে। এক বছর আগের হিসাব অনুযায়ী, সিরীয় শরণার্থীর সংখ্যা ছিল দুই লাখ ৩০ হাজার ৬৭১ জন।ইউএনএইচসিআরের মতে, বিপুলসংখ্যক শরণার্থী ছাড়াও সিরিয়া ২০১১ সালের মার্চে লড়াই শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছে।ইউএনএইচসিআরের শীর্ষ কর্মকর্তা অ্যান্তনিও গেতেরেস বলেন, সিরিয়ায় এই শতকের সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।