দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণ মুখ, গলা কিংবা খাদ্যনালিতে ক্যান্সার হলে, তা বুঝতে বেশ অনেকটাই দেরি হয়। ক্যান্সারের উপসর্গগুলোকে আমরা ছোটখাটো সমস্যা ভেবে এড়িয়ে যাই বেশির ভাগ সময়। অথচ এই সাধারণ লক্ষণগুলো আমাদের জানা দরকার।
কিছু খেতে গেলে কাশি কিংবা হেঁচকি ওঠার মতো উপসর্গও অনেক সময় ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। কেও ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন এমন কথা শুনলেই কেমন যেনো পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যায়। সঠিক সময় ধরা পড়লে ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্যও ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ করা যায়, এটি অনেকেই জানেন। তবে সাধারণ কিছু ক্যান্সারের লক্ষণের সঙ্গে আমরা পরিচিত হলেও খাদ্যনালি কিংবা মুখের ভিতরে ক্যান্সার হলে, তা বুঝতে বেশ অনেকটা দেরি হয়ে যায়। খাদ্যনালির ক্যান্সার ঠিক কী কারণে হতে পারে সেই সম্পর্কেও সঠিক কোনো ব্যাখ্যা না পাওয়া গেলেও ধূমপান কিংবা মদ্যপান নিঃসন্দেহে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
সাধারণত খাদ্যনালির ক্যান্সার দুই প্রকার। এক প্রকার সাধারণত মুখের উপরিভাগে, অর্থাৎ মুখগহ্বর ও গলা সংলগ্ন অঞ্চলে হয়ে থাকে। এই প্রকার ক্যান্সার যা সরাসরি খাদ্যনালিকে আক্রান্ত করে। কিছু খেতে গেলেই কাশি বা হেঁচকি ওঠার মতো উপসর্গ দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে আরও বেশি দেখা যায়।
বুকজ্বালা ও হজমের সমস্যা
বাড়িতে রান্না করা হালকা খাবার খাওয়ার পরও হজমের সমস্যা লেগেই রয়েছে? এটির এখনই সাবধান হওয়া দরকার। তাছাড়াও বার বার ঢেকুর ওঠা, বুকে জ্বালা জ্বালা ভাব, পেটে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে এইক্ষেত্রে।
ওজন কমে যাওয়া
হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া খাদ্যনালিতে ক্যান্সার হওয়ার আরও একটি লক্ষণও হতে পারে। তাছাড়াও খিদে না পাওয়া, খাবারে অরুচি ভাব, খাবারের স্বাদ পাল্টে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখলেও সাবধান হতে হতে হবে।
গলা বা বুকের হাড়ে ব্যথা
খেতে গেলে গলায় ব্যথা লাগা ছাড়াও সারাক্ষণ বুকের হাড়ে জ্বালা ভাব হওয়া, বিশেষত: গলা ও বুকের মাঝের হাড়ে ব্যথা হলে দেরি না করে অবশ্যই তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।