দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই বলেন বাসি খাবার খেলে গ্যাস হয়, সেটি অবশ্য ঠিক। তবে রুটির ক্ষেত্রে তা কিন্তু মোটেও প্রযোজ্য নয়। বাসি রুটির উপকারিতার কথা জানলে আপনিও বিস্মিত হবেন।
রাতের খাবারে ঝাল ঝাল কষা মাংসের সঙ্গে রুটিও বানিয়েছিলেন। এদিকে সন্ধেবেলায় বাড়িতে মেহমান এসেছিলেন। আপ্যায়ন চলেছে কাটলেট-ফিশফ্রাই দিয়ে। ব্যাস, রাতের খাবার খাওয়ার আর কোনো জায়গা নেই পেটে। তার পরেও শরীরের কথা ভেবে একটি রুটি খেলেন, তবে বাকি রুটিগুলোর কী অবস্থা হবে? খাবার নষ্ট না করে বরং যত্ন করে রেখে দিতে পারেন। অনেকের জানা নেই, বাসি রুটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। বাসি খাবার খেলে গ্যাস হয়, সেটি ঠিক। তবে রুটির ক্ষেত্রে কিন্তু সেটি প্রযোজ্য নয়। বাসি রুটির উপকারিতার কথা জানলে আপনিও বিস্মিত হবেন।
# অনেকই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগে থাকেন। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে দৈনন্দিন জীবন মেনে চলতে হয় বেশ কিছু বিধি-নিষেধ। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খেতে হয়। তবে ঘরোয়া উপায়ে রক্তচাপ কমাতে দুধের সঙ্গে আপনি খেতে পারেন বাসি রুটি। এতে শরীরে লবণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
# বাসি রুটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে ফাইবার ভিষণ কাজ করে। যে কারণে খিদে কম পায়। বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতা তখন কমে আসে।
# জানা যায়, বাসি রুটির মধ্যে থাকা ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিন, হাঁপানির সমস্যারও মহৌষধি। অ্যাজ়মার সমস্যা থাকলে ভরসা রাখতে পারেন এই বাসি রুটির উপর।
# বাসি রুটি খেলে শুধু যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমে যাবে, এমন কিন্তু নয়। কমে যাবে স্ট্রোকের ঝুঁকিও। কারণ হলো, রুটি শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
# আপনি ওজন কমানোর জন্য পরিশ্রমের কোনো কমতি রাখছেন না। অথচ তাতেও সুফল পাচ্ছেন না। আপনার হেঁশেলেই রয়েছে ওজন কমানোর এই হাতিয়ার। সেটি হলো বাসি রুটি। এটি খেলে ওজন ঝরে দ্রুত। গ্যাস হওয়ার ভ্রান্ত চিন্তা না করে, বরং ছিপছিপে হয়ে উঠতে চাইলে আপনি ভরসা রাখতে পারেন বাসি রুটির উপর। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।