দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কথায় বলে, দাঁত থাকতে আমরা দাঁতের মর্ম বুঝি না। তাই ঠেকায় পড়লেই তখন চিকিৎসকের কাছে যায়। তবে আগে থেকেই মেনে চলা উচিত কিছু নিয়ম।
টুথব্রাশ, টুথপেস্ট এবং মাউথওয়াশ পাল্টেও দাঁতের সমস্যা থেকে অনেকেই মুক্তি পান না? কখন দাঁতে সমস্যা দেখা দেয়, কবে তার জন্য যন্ত্রণায় পড়তে হবে, আর তখন চিকিৎসকের কাছে দৌড়াতে হবে, সেই অপেক্ষায় বসে থাকলে তো আর চলবে না! দাঁত খারাপ হওয়ার আগে তা প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা করতে হবে। তবে শুধু দাঁতই নয়, মুখের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে মেনে চলতে হবে কিছু অভ্যাস। আগে থেকেই মেনে চলুন কিছু নিয়ম, এতেও দাঁতের বেশ কিছু সমস্যা থেকে সমাধান পেতে পারেন।
মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কী করবেন?
দিনে দু’বার দাঁত মাজা
দাঁত, মাড়ি ভালো রাখার আদি ও অকৃত্রিম পন্থায় হলো ঘুম থেকে উঠে ও শুতে যাওয়ার পূর্বে দাঁত মাজা। খাওয়ার পর খাবারের ছোট ছোট অংশ থেকে যায় দাঁতের খাঁজের মধ্যে। সেগুলো সারাদিন, সারারাত মুখের মধ্যে থেকে পচে গেলে দাঁত ও মাড়ি- দুইয়েরই ক্ষতি হতে পারে। তাই চিকিৎসকরা বলেন যে, প্রতি বার খাওয়ার পর না হলেও সারাদিনে অন্তত পক্ষে দু’বার দাঁত মাজার চেষ্টা করতে হবে।
ফ্লসিং
ফ্লসিং শব্দটি অনেকের কাছেই অজানা। সরু সুতোর সাহায্যে দুটি দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবার বের করে নেওয়ার পদ্ধতিতেই বলা হয়ে থাকে ফ্লসিং। প্রতিবার খাওয়ার পর দাঁত মাজা সম্ভব না হলেও, মুখ ধুয়ে নিয়ে করা যেতে পারে ফ্লস। এই পদ্ধতিতে দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবারের টুকরো বেরিয়ে আসে খুব সহজেই। তবে আমরা ফ্লসের পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত নই। সেই ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করে কিংবা চিকিৎসকের কাছ থেকে শিখে নেওয়াই ভালো।
গার্গল কুলি করা
শুধু সর্দি কিংবা কাশির জন্যই নয়, মুখের ভিতরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও গার্গল করা দরকার। বিশেষ করে মিষ্টিজাতীয় খাবার, ফলের রস কিংবা ঠাণ্ডা নরম পানীয় খাওয়ার পর মুখের লালার পিএইচ-এর ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। গার্গল করলেই যা আবার আগের পর্যায়ে ফিরে আসে। কারণ এই থেকে আরও বেশি দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।