দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি আলুর কিছু স্বাস্থ্যকর দিক রয়েছে। শরীরের প্রতিরোধশক্তি বাড়াতে আলু ভিষণ উপকারী। তবে রান্নায় আলু না খেয়ে কাঁচা আলুর রসও খেতে পারেন। এটিতে অনেক বেশি উপকার পাবেন।
পাতলা মাছের ঝোল বা কষা মাংস- রান্নায় আলু না থাকলে মন যেনো ভরতেই চায় না। ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপের সমস্যা নিয়ে যারা ভুগছেন, তারা কিন্তু আলু পাতে নেন না। আলু খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো না মন্দ- তা নিয়ে একটা দ্বন্দ্ব রয়েছেই। তবে পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, আলু অর্থই যে শরীরের পক্ষে খারাপ, এই ধারণাটি একেবারেই ভুল। সব কিছুর মতো আলুরও কিছু ভালো-মন্দ গুণ রয়েছে। আলু খেলে ডায়াবেটিসের মাত্রা বাড়া, ওজন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে- এমন কিছু ধারণাও প্রচলিত রয়েছে। তবে এগুলো ছাড়াও আলুর কিছু স্বাস্থ্যকর দিকও রয়েছে। শরীরের প্রতিরোধশক্তি বাড়াতেও আলু ভিষণ উপকারী। তবে রান্নায় আলু না খেয়ে বরং কাঁচা আলুর রসও খেতে পারেন। তাতেও অনেক বেশি উপকার পাবেন।
# আলুতে রয়েছে ভিটামিন বি, সি, পটাশিয়াম, আয়রণ ও কপার। এতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ ক্যালশিয়াম। এতে উপস্থিত ভিটামিন সি সর্দি-কাশির সমস্যাও কমায়। যে কোনও রকমের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তেও সাহায্য করে। প্রতিদিন খালি পেটে এই রস খেলেই চলে।
# আবার প্রদাহ কমানোর ক্ষমতাও রয়েছে আলুর রসে। যে কারণে হাড়ের ব্যথাও কমে যায়। ব্যথার জায়গায় এক টুকরো আলু কেটে লাগালে অনেক সময় আরাম পাওয়া যায়।
# গ্যাস, অম্বলের সমস্যা নিয়ে ভোগেন না, এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়াও মুশকিল। প্রতিদিনের জীবনে গ্যাস, অম্বল, বুকজ্বালার সমস্যা লেগে রয়েছে। তবে এমন সমস্যা হলে অনেকেই ভরসা রাখেন ওষুধের উপরে।
# আবার ক্যান্সারের আশঙ্কাও কমাতে পারে আলুর রস। এতে ‘গ্লাইকোক্যালয়েড’ নামে একটি উপাদানও রয়েছে। তাতে টিউমার নিয়ন্ত্রণ করার গুণও রয়েছে। ২০১৬ সালের একটি গবেষণায় আলুর এই গুণের কথা উল্লেখ করা হয়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।