দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক সময় দেখা যায় মানসিক চাপে না থেকেও চোখের তলায় পড়ছে কালি। চোখের তলায় কালচে ছাপ পড়ার কিন্তু নানা কারণ থাকতে পারে। এটি দূর করার উপায় জেনে নিন।
দৈনন্দিন নানা কাজের চাপ, শারীরিক অসুস্থতা কিংবা রাত জাগার অভ্যাস থাকলে অনেক সময় চোখের তলায় কালচে ছোপ পড়ে থাকে। দিনের পর দিন চোখের উপর প্রচণ্ড চাপ পড়লেও অনেক সময় ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই চোখের তলায় কালচে ছোপ পড়ে থাকে। অনেকেই চোখের তলার এই কালচে দাগ তুলতে বাজারের নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করেন। তবে সেই সব প্রসাধনী যে সকলের ক্ষেত্রেই একই রকম ফল দেবে, তা নয়। এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঘরোয়া অনেক উপায়েও চোখের নীচের এইসব কালো দাগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আজ জেনে নিন বিষয়গুলো।
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমোনো
শরীরে অতিরিক্ত ক্লান্তি, রাত জাগা অভ্যাস, অবসাদ ও অপর্যাপ্ত ঘুম চোখের নীচে কালি কিংবা ডার্ক সার্কেল হতে পারে। রাতের পর রাত জেগে ফোন ঘাঁটাঘাটি, সিনেমা দেখা, চোখের যত্ন না নেওয়ার কারণেও চোখের তলায় অনেক সময়ই কালি পড়তে পারে। তাই প্রতিদিন ৭ হতে ৮ ঘণ্টা ঘুমোনোটা জরুরি।
শরীরকে আর্দ্র রাখুন
শরীরে পানির অভাব হলেও চোখের তলার কালি বেশি নজরে পড়ে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেয়ে শরীরকে আর্দ্র রাখতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
অ্যালার্জিজনিত সমস্যা
অনেক সময়ই অ্যালার্জি থেকেও চোখের তলার চামড়ায় কালো ছোপ পড়তে পারে। তাই খেয়াল রাখতে হবে যাতে করে অ্যালার্জি যেনো না হয়।
রোদ থেকে দূরে থাকা
অনেক সময় স্পর্শকাতর ত্বকে রোদ লেগেও ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। যেহেতু চোখের তলার চামড়া অত্যন্ত স্পর্শকাতর, তাই রোদ লেগে সেখানে কালচে ছোপও পড়তে পারে। তাই বাইরে বের হলে সানস্ক্রিন মেখে ও রোদচশমা পরে তাহলেই বাইরে বেরোবেন।
ঠাণ্ডা সেঁক
দিনের ক্লান্তি এবং চোখের তলার কালচে ছোপ দূর করতে চোখে বরফের সেঁকও দেওয়া যেতে পারে। তবে কখনই সরাসরি চোখে বরফ ঘষতে যাবেন না। পাতলা সুতির কাপড়ে বরফের টুকরো মুড়িয়ে নিয়ে এরপর আলতোভাবে চোখের চারপাশে বুলিয়ে নিতে পারেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।