দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘরে-বাইরে কাজের চাপে শরীরচর্চা করার সময় নেই। জিমে গিয়ে মেদ ঝরানোর কোনো উপায় নেই। এমন হলে কী করবেন? আয়ুর্বেদের ৩ টোটকায় ভরসা রাখতে পারেন।
সারাদিন অফিসে বসে বসে কাজ করেন। বেশির ভাগ দিন বাইরের মশলাদার খাওয়া-দাওয়ায় পার করেন। তার উপর দৈনন্দিন কাজের চাপ ও চূড়ান্ত ব্যস্ততায় জীবনযাত্রায় অনিয়মও রয়েছেই। এই অনিয়মের কারণে বেড়েই চলেছে শরীরের স্থূলতা।
চিকিৎসকরা মনে করেন, স্থূলতা কিংবা বাড়তি মেদ থেকে শরীরে একাধিক রোগ বাসা বাঁধতে পারে যে কোনো সময়। বিশেষ করে পেটের মেদ বেড়ে গেলে, নানা রকম রোগের প্রাদুর্ভাবও দেখা যায়। ঘরে-বাইরে কাজের চাপ থাকায় শরীরচর্চারও সময় হয় না। জিমে গিয়ে মেদ ঝরানোরও উপায়ও নেই। তাহলে এমন পরিস্থিতিতে কী করবেন? উপায় রয়েছে। জিমে না গিয়েও, ঘাম না ঝরিয়েও কিন্তু মেদ ঝরিয়ে ফেলতে পারেন অনায়াসেই। আয়ুর্বেদে রয়েছে এই ধরনের সমস্যার সমাধান। তিন রকম পানীয়তে জব্দ হতে পারে মেদ।
ত্রিফলা চূর্ণ
আমলকি, হরিতকি ও বহেরা- এই তিন ফল শুকিয়ে তাদের গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করা হবে এই ত্রিফলার মিশ্রণ। এই তিনটি ফল পৃথকভাবেও আমাদের শরীরের পক্ষে বেশ উপকারী। মেদ ঝরিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে এই মিশ্রণটি। বিপাকহার বাড়াতে এই মিশ্রণ দারুণভাবে কাজ করে। গরমের সময় হজমের সমস্যা কমবেশি সকলেই ভোগেন। বদহজম দূর করতেও নিয়মিতভাবে ত্রিফলা খেতে পারেন।
লেবুর রস
সকাল বেলা খালি পেটে উষ্ণ পানিতে লেবুর রস ও মধু খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকের মধ্যে। আয়ুর্বেদ মতে, এই পানীয়টি বিপাকহার বাড়িয়ে হজমেও সহায়তা করে। শুধু তা-ই নয়, খাবারে থাকা ফ্যাটজাতীয় উপাদান ভাঙতে সহায়তা করে এই পানীয়টি।
আদা চা
আপনার ওজন কমানোর ক্ষেত্রে মোক্ষম দাওয়াই হতে পারে এই আদা। আদা চটজলদি ক্যালোরি পোড়াতেও সক্ষম। এছাড়াও, আদার রস কার্বোহাইড্রেট দ্রুত হজম করে, মেটাবলিক রেটও বাড়ায়, আবার ইনসুলিনের নিঃসরণও বাড়ায়। যে কারণে ওজন সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।