দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ টক দই এমনিতেও অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। ওজন কমাতেও এর জুড়ি নেই। তবে তার আগে জানতে হবে কীভাবে দই খেলে সুফল পাবেন খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে।
অনেকেই শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে ভরসা রাখেন টক দইয়ের উপর। মেদ ঝরাতে টক দই অব্যর্থ একটি জিনিস। টক দই এমনিতেও অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। ওজন কমাতেও এর জুড়ি নেই। তবে তার আগে জানতে হবে যে, কীভাবে দই খেলে সুফল পাবেন খুব দ্রুত। আজ সেই বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
ওটস দই-মশলা
ওজন কমাতে হলে ওটসের ভূমিকা নতুন করে কিছু বলার নেই। যদি টক দইয়ের সঙ্গে জুটি বাঁধে ওটস, তাহলে সোনায় সোহাগা! ওজন কমানো নিয়ে কোনও চিন্তাই রইলো না। সকালের নাস্তায় অনায়াসে খেতে পারেন ওটস দই-মশলা। কীভাবে বানাবেন? ওটস নরম করে তারপর সেদ্ধ করতে বসান। সেদ্ধ হয়ে এলে এতে মেশান পেঁয়াজ কুচি, শসা কুচি, টম্যাটো কুচি, গাজর, সামান্য লঙ্কার গুঁড়ো, গোলমরিচ গুঁড়ো, লবণ। এবার একটি পাত্রে তেল গরম করে তাতে সর্ষে এবং ধনেপাতা ফোড়ন দিয়ে ওটস ও সব্জিগুলো দিয়ে দিন। একটু নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিয়ে দইয়ে মেশালেই তৈরি হবে ওটস দই-মশলা।
দই-মুরগি
অনেকেই খেলেই ওজন বেড়ে যেতে পারে ভেবে, দুপুরের খাবারে স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু কিছু খুঁজে বেড়ান। তাদের জন্য এই পদটি দারুণ বিকল্পও হতে পারে। এই পদটি রান্না করা খুবই সহজ। অল্প তেল-মশলা দিয়ে যেভাবে মাংস রান্না করেন, তাতে বেশি করে দই মিশিয়ে দিতে পারেন। তবে চিনি দেবেন না। দই-মাংসের এই পদ একই সঙ্গে স্বাদ ও স্বাস্থ্য দুইয়েরই যত্ন নেয়।
সব্জির রায়তা
আপনি কী রোগা হতে চাইছেন? তাহলে আপনার প্রতিদিনের পাতে বেশি করে রাখতে হবে সব্জি। ওজন কমাতে এর চেয়ে ভালো বিকল্প হতে পারে না। চেনা সব্জির একটু অন্য রকম স্বাদ পেতে চাইলে আপনি বানিয়ে নিতে পারেন রায়তা। কীভাবে বানাবেন? একটি পাত্রে কুচি করে কাটা টম্যাটো, পেঁয়াজ, মরিচ কুচি, জিরা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়া, লাল মরিচের গুঁড়া ও বেশি করে টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন এই রায়তা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।