দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কেবলমাত্র কম পরিমাণে স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই হবে না। রান্নায় কয়েকটি পরিবর্তন আনলে দেখবেন কয়েক দিনের মধ্যেই আপনার ওজন কমে গেছে। তাহলে কী সেই পথ?
ওজন কমানো যে কথার কথা নয়, দীর্ঘ পরিশ্রম শেষে ব্যর্থ হওয়ার পর তা বুঝতে পারেন অনেকেই। শরীরচর্চা থেকে কঠিন ডায়েট- রোগা হওয়ার অন্যতম উপায় এগুলোও। রোগা হওয়ার এই পথ ধরে যে কেও হাঁটেন না, এমনও নয়। তারপরও কোনও লাভ হয় না। ওজন যা তাই থাকে।
এই বিষয়ে পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, অনেকের ধারণা দিনরাত শরীরচর্চা করলেই মনে হয় দ্রুত ওজন ঝরবে। এই ধারণাও। শরীরচর্চার অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে। সেই জন্যে নজর দিতে হবে খাওয়া-দাওয়াতে। স্বাস্থ্যকর খাবার ওজন হাতের মুঠোয় রাখতে সাহায্য করবে। সহজেই ওজন কমানোও সম্ভব হয়। ওজন কমানোর পর্বে কী খাচ্ছেন, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো কতোটা খাচ্ছেন তার উপর। রোগা হওয়ার পর্বে পরিমাণের দিকে নজর দেওয়াটা জরুরি। তবে কেবলমাত্র কম পরিমাণে স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই হবে না। রান্নায় ৩টি পরিবর্তন আনতে হবে। দেখবেন কয়েক দিনেই আপনার ওজন কমে গেছে।
প্রথমত: অবশ্যই রোগা হওয়ার ডায়েটে আপনাকে রাখতে হবে শাকসব্জি। তবে সব্জি কাটার সময় কখনও খোসা ফেলে দেবেন না। কারণ হলো খোসায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। যে কারণে বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। সঙ্গে ভরপুর পরিমাণে পুষ্টিও পাওয়া যায়। যা ওজন কমাতেও সহায়ক।
দ্বিতীয়ত: মশলাদার রান্না আপনি একেবারেই পছন্দ করেন না। তাতেও কোনও সমস্যা নেই। তবে ওজন কমাতে চাইলে রান্নায় কালোজিরা বা গোলমরিচও দিতে পারেন রান্নায়। এই মশলাগুলোতে নানা রকম খনিজ পদার্থ থাকে। যেগুলো ওজন কমাতেও সাহায্য করে। তাছাড়াও ধনেপাতা, কারিপাতা রান্নাতেও ব্যবহার করতে পারেন। এতেও উপকার পাবেন।
তৃতীয়ত: সব্জিগুলো বড় বড় করে কাটতে হবে। ছোট ছোট টুকরো করলে তেল বেশি করে শুষে নেয়। যে কারণে সব্জির মাধ্যমে শরীরে অতিরিক্ত তেলও প্রবেশ করে। এতে করে সব্জি খেয়ে কোনও কোনও লাভই হয় না। তাই সব্জি বড় বড় টুকরো করে কাটুন। এতে করে বেশি তেল শোষণ করতে পারে না- এতেই উপকার পাবেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।