দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রণের দাগ খুব সহজেই যেতে চায় না। এই দাগ পুরোপুরি মুছতে বেশ সময় লাগে। চেষ্টা করেও দাগ যায়নি, এমন উদাহরণও রয়েছে অনেক। তাহলে করণীয় কী?
ব্রণের সমস্যা নতুন কিছু নয়। কম বয়সে তো ব্রণ হয়ই, এমনকি বয়স বাড়লেও এর হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায় না অনেক সময়। ব্রণ যে শুধু নারীরই সমস্যা, তা কিন্তু নয়। পুরুষরাও ব্রণ নিয়ে নাজেহাল হয়ে পড়েন অনেক সময়। কমবয়সিদের মধ্যে ত্বক নিয়ে বাড়তি সচেতনতা রয়েছে এটি ঠিক। ব্রণ হওয়ার পূর্বেই তা প্রতিরোধ করার একটা চেষ্টা তাদের মধ্যে দেখা যায়। আবার ব্রণ হলেও অনেক কষ্টে তা সারানো যায়, তবে দাগ থেকে যায়। ব্রণের দাগ খুব সহজে যেতে চায় না। এই দাগ পুরোপুরি মুছতে বেশ সময় লাগে।
আসলে অনেকেই বুঝতেও পারেন না যে আসলে কোনটা ব্রণের কারণে হওয়া দাগছোপ, আর কোনটা প্রকৃত ব্রণের চিহ্ন। লাল কিংবা বাদামি রঙের কোনও দাগ আসলে ব্রণ সেরে যাওয়ার পরই তৈরি হয়। ব্রণ কমে গেলেও অনেকের ত্বকে কালো কালো দাগছোপে ভরে যায়। যেটি আসলে ‘হাইপারপিগমেন্টেশন’ নামেও পরিচিত। ব্রণের থেকেও এই দাগগুলো নিয়ে যেনো বেশি চিন্তিত থাকেন অনেকেই। একটা ভয় তখন কাজ করে মনের মধ্যে। আদৌ ত্বকের সেই লাবণ্য ফিরে আসবে তো? এই ধরনের দাগ দূর করতে বাজারে অনেক প্রসাধনীও পাওয়া যায়। তবে সবগুলো যে ফলদায়ক হবেই, এমন কিন্তু নয়। কেনার আগে বেশ কিছু জিনিস যাচাই করে নিতে হবে। এরমধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রসাধনীর উপকরণ। কোজ়িক অ্যাসিড, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, অ্যাজেলাইক অ্যাসিড, ভিটামিন সি, আরবুটিন, হাইড্রোকুইনাইনের মতো উপাদান দিয়ে তৈরি প্রসাধন সামগ্রী অনেক বেশিই কার্যকর। এই উপাদান-সমৃদ্ধ প্রসাধনী ত্বকের দাগছোপ দূর করতেও সাহায্য করে।
ব্রণ কমে গেলেই ত্বকের পরিচর্যায় ইতি টানলে কিন্তু চলবে না। ব্রণ কমে যাওয়ার পর ত্বকের যত্ন নিয়ে যেতে হবে নিয়ম মাফিক। বিশেষ করে স্ক্রাবিং করা বন্ধ করলে হবে না। স্ক্রাব করার কারণে ত্বকের মৃত কোষ দূর হয়। আর তখন রোমকূপে জমে থাকা ময়লা বাইরে বেরিয়ে যায়। দাগছোপ তৈরি হওয়ারও অবকাশ কম থাকে সে কারণে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।