দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘন ভুরু যুগল পাওয়ার ইচ্ছা অনেকের থাকে। তবে মাইক্রোব্লেডিং করতেও ভয় লাগে। অন্য কোনও উপায়ে কি ভুরুর ঘনত্ব বাড়িয়ে তোলা যাবে? আজ জেনে নিন বিষয়টি।
চোখে দেখা না গেলেও আপনি বেশ বুঝতে পারছেন কোনও কারণ ছাড়াই চোখের পাতা ও ভুরুর লোম ঝরে পড়ছে। পেন্সিল দিয়ে নিয়মিত ভুরু এঁকেও মনের মতো ঘনত্ব পাচ্ছেন না আপনি। অথচ, টলি অভিনেত্রী বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়ের মতো ঘন ভুরুর শখ আপনার। তেমন ভুরু পাওয়ার আশায় ইদানীং অনেকেই লোম ঘন করার জন্য ‘মাইক্রোব্লেডিং’-এর সাহায্যে ভুরু আঁকিয়ে নিচ্ছেন। তবে তা বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভুরু ঘন করার জন্য এতো ঝামেলা করার কোনো প্রয়োজন নেই। ঘরোয়া কিছু টোটকাতেই ভুরুর লোম ঘন করে ফেলা যাবে।
নিয়মিত ভুরু তুলবেন না
গোসলের পর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে যেই দেখলেন দু’একটা অতিরিক্ত লোম আশপাশ থেকে গজিয়ে উঠছে। অমনি ‘টুইজ়ার’ দিয়ে তুলে ফেলার অভ্যাস আপনার। ভুরুর লোম ঘন করতে গেলে প্রথমেই এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
মানসিক চাপ মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন
অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকেও যেমন চুল ঝরে পড়ে, তেমনি চোখের পাতা, ভুরুর লোমও ঝরে যেতে পারে অনেক সময়। চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে ধ্যান, যোগাসন করতে পারলে ফল পেতে পারেন।
অত্যধিক প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না
ভুরু ঘন করতে রাসায়নিক দেওয়া প্রসাধনীর অতিরিক্ত ব্যবহারে অনেক সময় লোম ঝরে যেতে পারে। মুখ থেকে নির্গত সেবামের সঙ্গে রাসায়নিক মিশে লোমকূপ বন্ধ হয়েও যেতে পারে। যে কারণে অচিরেই লোম ঝরে পড়তে পারে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে
শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজের অভাব হলেও অনেক সময় লোম ঝরে পড়তে পারে। তাই টাটকা শাক-সব্জি, ফল, প্রোটিন রাখতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা।
নারকেল তেল, ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করুন
এক চামচ নারকেল তেলে কয়েক ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে নিতে হবে। রাতে শুতে যাওয়ার পূর্বে মুখ পরিষ্কার করে নিয়মিত ভুরুতে মালিশ করুন এই তেল। তাতে বেশ উপকার পাবেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।