দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সুজিত সরকারের ‘ভিকি ডোনর’ ছবির মাধ্যমে ২০১২ সালে বলিউডে পা রাখেন ইয়ামি গৌতম। তার পূর্বে টেলিভিশনে একাধিক ধারাবাহিকে কাজও করেছেন। সেইসঙ্গে একাধিক সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে দেখা গেছে ইয়ামিকে।
২০১২ সালে ‘ভিকি ডোনর’ ছবিতে আয়ুষ্মান খুরানার বিপরীতে দেখা যায় তাকে। মুক্তির পর দর্শক এবং সমালোচকদের প্রশংসাও অর্জন করেছিল ওই ছবিটি। বক্স অফিসে ব্যবসার নিরিখেও ভালো ফল করেছিল সুজিত সরকার পরিচালিত ওই ছবিটি। এরপর গত ১১ বছরে একাধিক বলিউড ছবিতেও কাজ করেছেন ইয়ামি। ‘বদলাপুর’, ‘বালা’, ‘কাবিল’, ‘সরকার ৩’-এর মতো ছবিতেও দেখা গেছে তাকে। এরপরও বলিউডে নিজেকে পোক্ত করতে পারেননি এই অভিনেত্রী।
পরিচালক আদিত্য ধরকে ২০২১ সালে ইয়ামি বিয়ে করেন। আদিত্য পরিচালিত ‘উরি : দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ ছবিতে কাজ করেন ইয়ামি। খবর, নিজের পরবর্তী ছবির জন্য আদিত্যর সঙ্গে আবারও জুটি বাঁধতে চলেছেন তিনি। ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিলো আদিত্য ধর পরিচালিত ছবি ‘উরি : দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’।
শোনা যায় যে, ওই ছবির শুটিং চলাকালীন একে অপরের প্রেমে পড়েন আদিত্য এবং ইয়ামি। ছবি মুক্তির বছর দুয়েক পর ২০২১ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন এই যুগল। ‘উরি : দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর পর ‘ধুমধাম’ ছবির জন্য আদিত্যর সঙ্গেই জুটি বেঁধেছেন ইয়ামি। ওই ছবিতে ‘স্ক্যাম ১৯৯২’ খ্যাত অভিনেতা প্রতীক গান্ধীর সঙ্গে বিপরীতে দেখা যাবে তাকে। ছবির পরিচালনায় রয়েছেন ঋষভ শেঠ, প্রযোজনায় আদিত্য। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ওই ছবিটি।
নতুন খবর হলো আদিত্যর সঙ্গে তৃতীয়বার জুটি বাঁধছেন ইয়ামি। সেই ছবিতেও আদিত্যকে পরিচালকের বদলে প্রযোজকের ভূমিকাতেই দেখা যাবে। শোনা যাচ্ছে যে, সত্য রাজনৈতিক ঘটনা অবলম্বনে একটি থ্রিলার ছবি বানাতে যাচ্ছেন আদিত্য। ওই ছবিতে দেখা যাবে ইয়ামিকে। আদিত্য প্রযোজিত ওই ছবির পরিচালনায় দায়িত্বে থাকবেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত গোয়ার প্রখ্যাত পরিচালক আদিত্য সুহাস জাম্ভালে। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ওই ছবির শুটিং।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org