দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১১ আগস্ট ২০২৩ খৃস্টাব্দ, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৩ মহররম ১৪৪৫ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
যে মসজিদটি আপনি দেখতে পাচ্ছেন সেটি বরগুনা জেলার বেতাগীতে অবস্থিত বিবিচিনি শাহী মসজিদ। এটি একটি ঐতিহাসিক।
বিবিচিনি শাহী মসজিদ বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি গ্রামে দিগন্তজোড়া সবুজের বর্ণিল এক আতিথেয়তায় উদ্ভাসিত ভিন্ন এক ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যে প্রায় ৪০ ফুট উঁচু টিলার উপর অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি মসজিদ।
১৬৫৯ সালে বিখ্যাত ইসলাম ধর্ম প্রচারক হযরত শাহ নিয়ামতউল্লাহ (র:) পারস্য থেকে এই অঞ্চলে ইসলাম প্রচারের জন্য আসেন। এই সময় দিল্লির সম্রাট শাহজাহানের দ্বিতীয় পুত্র বঙ্গদেশের সুবেদার শাহ সুজা তার শিষ্যত্বও গ্রহণ করেন। শাহ সুজার অনুরোধে তিনি গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। নেয়ামতুল্লাহর কন্যা চিনিবিবির নামানুসারে গ্রামের নাম রাখা হয়েছিলো বিবিচিনি। মসজিদটির নামও সেখান থেকেই নামকরণ করা হয়৷
তবে অনেকের মতে, মগ এবং পর্তুগীজ জলদস্যুদের দমনের উদ্দেশ্যে শাহ সুজা সেই সময়কালে এই অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় দুর্গ স্থাপন করেন। তখন সাধক শাহ নিয়ামতউল্লার অনুরোধে তিনি একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন।
এই মসজিদের গায়ে কোন শিলালিপি না থাকায় এর সঠিক নির্মাণ সাল কিংবা পবিত্রীকৃত বছর সম্পর্কে জানাও যায়নি।
বর্গাকার এই মসজিদটির দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ্য ৩৩ ফুট ও দেওয়াল প্রায় ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি চওড়া। এই মসজিদটির ইট ধূসর বর্ণের। এই ইটের দৈর্ঘ্য ১২ ইঞ্চি, প্রস্থ ১০ ইঞ্চি ও চওড়া ২ ইঞ্চি। এই মসজিদের পূর্ব দেওয়ালে ৩টি প্রবেশ পথ রয়েছে।
স্থানীয়দের কাছে জানা যায় যে, শাহ নেয়ামত উল্লাহর অনেক অলৌকিক কীর্তি দেখে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা তাঁর কাছে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন। তথ্যসূত্র: https://www.facebook.com/BangladesherOitihasikMosjid
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org