দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিএটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান জনাব গোলাম মইন উদ্দীনের আত্মজীবনীমূলক বই ‘বহুজাতিক কোম্পানিতে ৫০ বছর’ -এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকার গুলশান-১ এ অবস্থিত পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনিম। তারপর বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সমাজের গণ্যমান্য এবং শিল্পখাতের প্রথিতযশা ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।
পরে বইটি সম্পর্কে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন গোলাম মইন উদ্দীন। তিনি বলেন, “বইটি প্রকাশ করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। দেখতে দেখতে বহুজাতিক কোম্পানিতে কাজ করার অনেক বছর হয়ে গেলো। এই অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে শেয়ার করবো বলে ভাবছিলাম। শেষ পর্যন্ত, এই বইটির মাধ্যমে আমার কর্ম এবং ব্যক্তিজীবনের অনেক কথা আপনাদের বলা হলো। অনুষ্ঠানে আগত সকল অতিথিকে আমার পক্ষ থেকে জানাচ্ছি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।”
উল্লেখ্য, ‘বহুজাতিক কোম্পানিতে ৫০ বছর’ বইটির ৩৫টি অধ্যায়ে বিএটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান গোলাম মইন উদ্দীনের জীবনের নানা দিক উঠে এসেছে। বইটির পরতে পরতে ছড়িয়ে রয়েছে মইন উদ্দীনের শৈশব-কৈশোর, কর্মজীবনের শুরু, চা-বাগানে কাজ করার নানা অভিজ্ঞতা, বিএটি বাংলাদেশে লেখকের বর্ণাঢ্য কর্মজীবন, তার
সময়কালে বিএটি বাংলাদেশের বিভিন্ন এমডিদের কার্যক্রম, বিএটি বাংলাদেশের নেওয়া নানারকম উদ্যোগ ও কর্মীদের জন্য দিক-নির্দেশনাসহ ব্যক্তিজীবনের বিভিন্ন দিক।
লেখক আত্মজীবনীমূলক এই বইটি উৎসর্গ করেছেন তাঁর বন্ধুবান্ধব, ৫০ বছরের পেশা জীবনের সহকর্মী, শ্রমিক-কর্মচারী, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষক এবং সাধারণ জনগণকে। ৮০০ টাকা গায়ের মূল্যের বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন লিটন হালদার। আর বইটি প্রকাশ করেছে জাগৃতি প্রকাশনী। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org