দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যক্তিগত এবং সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব গ্রহণে গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের (জিআইএস) শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
‘অ্যাকশন ফর পিস: আওয়ার অ্যাম্বিশন ফর দ্য #গ্লোবালগোলস’ প্রতিপাদ্যে অনুপ্রাণিত হয়ে সম্প্রতি রাজধানীর সাতারকুলে (বাড্ডা) অবস্থিত স্কুলের ক্যাম্পাসে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত সেমিনারে অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বনামধন্য করপোরেট প্রশিক্ষক গোলাম সামদানি ডন। এই সেমিনারে গ্রেড ১-৮ এর শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে গ্লেনরিচ থেকে উপস্থিত ছিলেন স্কুলটির হেড অব প্রাইমারি সেকশন নাজমা। জাতিসংঘের শান্তি দিবস এবং এর তাৎপর্য সংক্ষেপে শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন তিনি।
ডন সামদানি ফ্যাসিলিটেশন অ্যান্ড কনসালটেন্সির চীফ ইনস্পিরেশনাল অফিসার গোলাম সামদানি ডন বিগত কয়েক বছর যাবত করপোরেট প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছেন। একইসঙ্গে, মোটিভেশনাল স্পিকার হিসেবে তিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের জীবনে চলার পথে অনুপ্রাণিত করে আসছেন। অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশ্ব শান্তি দিবস নিয়ে নিজের চিন্তা-ভাবনা তুলে ধরেন গোলাম সামদানি ডন। তিনি শিক্ষার্থীদের দায়িত্ববোধ জাগ্রত করতে তাদের অংশগ্রহণমূলক বিভিন্ন কার্যক্রমে যুক্ত করেন ও দেখান শিশুরাও কীভাবে বিশ্বব্যাপী সম্প্রীতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে।
সেমিনারে গোলাম সামদানি ডন বলেছেন, ‘মানুষের ভেতরে শান্তি না থাকলে আক্ষরিক অর্থেই জীবনে কিছুই অর্জন করা সম্ভব না। এইসব মানুষ সমাজের উন্নতিতেও কোনো অবদান রাখতে পারেন না। সফলভাবে নিজের কাজ করার জন্য ও বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখতে হবে এবং আমাদের নিজেদের জীবনেও শান্তি বজায় রাখতে হবে। মানসিকভাবে স্বস্তিতে থাকলে তরুণ শিক্ষার্থীরাও সবার জন্য শান্তির সংস্কৃতি তৈরি এবং সম্প্রীতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে।’
তাছাড়াও, অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে লক্ষ্য অর্জন ও কীভাবে বিশ্বজুড়ে সংঘাত এবংও দ্বন্দ্ব কমিয়ে আনা যায় সে সম্পর্কে তাদের ভাবনা তুলে ধরে। ‘আই ক্যান, আই মাস্ট, আই উইল,’ এই শপথ গ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটানো হয়। খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org