দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩ খৃস্টাব্দ, ২৫ কার্তিক ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৫ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
যে মসজিদটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেটি ঝিনাইদহে সুলতানী আমলের ঐতিহাসিক মসজিদ গোড়ার মসজিদ। এই ঐতিহাসিক গোড়ার মসজিদটি ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা শহর হতে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে বারোবাজার ইউনিয়নের বেলাট দৌলতপুর গ্রামে অবস্থিত।
পঞ্চদশ শতাব্দির রাজধানীখ্যাত শাহ মোহাম্মদাবাদে সুলতানী শানামলের স্থাপত্য শিল্পের এটি একটি অনন্য নিদর্শন। এর পূর্বদিকে রয়েছে পুকুর এবং ওযু করার সুব্যস্থা। একটি বড় এবং ৩টি ছোট গম্বুজ এবং বারান্দাসহ মসজিদটি বর্গাকৃতির মসজিদ।
প্রত্নতত্ত বিভাগ ১৯৮৩ সালে খননের পর গম্বুজের কেন্দ্রস্থল ২ ফুটের মতো ভাঙ্গা দেখতে পান। একইসঙ্গে মসজিদের পাশে একটি কবরের সন্ধানও পাওয়া যায়। এটি গোড়াই নামে এক দরবেশের মাজার বলে অনেকেরই ধারণা। তাঁর নামানুসারেই এই মসজিদকে গোড়ার মসজিদ নামকরণ হয়েছে।
এই মসজিদে ৫ ফুট প্রশস্ত দেওয়াল, পূর্বদিকে ৩টি প্রবেশদ্বার এবং উত্তর ও দক্ষিণের দেওয়ালে দু’টি বড় এবং দু’টি ছোট মোট ৪টি প্রবেশ পথ বর্তমানে জানালা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পশ্চিমের দেওয়ালে ৩টি মেহরাব রয়েছে। পশ্চিম দেওয়ালে ৭/৮ ফুট লম্বা দু’টি এবং উত্তর ও দক্ষিণের দেওয়ালে দুই’টি মোট ৪টি কালো পাথরের স্তম্ভ রয়েছে। মসজিদের দেওয়ালে পোড়ামাটির পত্র-পুষ্পে শোভিত শিকল, ঘন্টাসহ বিভিন্ন নকশাও রয়েছে। বাইরের দেওয়াল পুরোটাই পোড়ামাটির কারুকার্যে অলংকৃত রয়েছে। যা দেখে ভ্রমণপিপাসুরা মুগ্ধ হন। তথ্যসূত্র: https://sarabangla.net
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org