দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দ্য গেম অ্যাওয়ার্ডসের (টিজিএ) অন্যতম গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন পার্টনার হিসেবে এবার বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ ইমো।
ভিডিও গেমিং ইন্ডাস্ট্রির অর্জনগুলোকে স্বীকৃতি দিতেই টিজিএ এই বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এই অনুষ্ঠানে বিনোদনের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং, আশাব্যঞ্জক এবং প্রেরণাদানকারী খাত হিসেবে গেমিংয়ের অবস্থানকে আরও সমৃদ্ধ করতে এবং গেমিং এর সাফল্য উদযাপনে একসঙ্গে হন পপ-কালচারের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব, খেলোয়াড় এবং গেম ডেভেলপাররা। দ্য গেম অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ -এ ৫ হাজার বিশেষ অতিথি, খাত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং ফ্যানরাও উপস্থিত থাকবেন।
গেমারদের অন্যতম পছন্দের এবং আগ্রহের এই আয়োজন সম্প্রচারের দায়িত্ব নেওয়ার মাধ্যমে আরও বড় অডিয়েন্সের সঙ্গে ইমো যুক্ত হতে পারবে বলেও ধারনা করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। ইমো প্লাটফর্মেই দেখা যায় পুরো আয়োজন।
টিজিএ-তে ৩১টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়। যার মধ্যে রয়েছে- গেম অব দ্য ইয়ার, বেস্ট গেম ডিরেকশন, বেস্ট ন্যারে’টিভ, বেস্ট আর্ট ডিরেকশন, বেস্ট স্কোর অ্যান্ড মিউজিক, বেস্ট অডিও ডিজাইন, বেস্ট পারফরম্যান্স, ইনোভেশন ইন অ্যাক্সেসিবিলিটিসহ আরও নানা ক্যাটাগরি।
২০২৩ সালের গেম অব দ্য ইয়ারের মনোনয়নগুলো হলো, অ্যালেন ওয়েক ২, বালডুর’স গেট ৩, মার্ভেলের স্পাইডার-ম্যান ২, রেসিডেন্ট এভিল ৪, সুপার মারিও ব্রোস ওয়ান্ডার এবং দ্য লিজেন্ড অব জেল্ডা: টিয়ার্স অব দ্য কিংডম। সৃজনশীল এবং প্রযুক্তিগত সকল ক্ষেত্রে সেরা অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে এমন নির্দিষ্ট গেমকেই দ্য গেম অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ প্রদান করা হবে।
দ্য গেম অ্যাওয়ার্ডসের সিইও ও হোস্ট জেফ কিথলি বলেছেন, “আমরা আরও বেশি বেশি দর্শক-শ্রোতাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ধারাবাহিকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছি। সেজন্য আমাদের কমিউনিটিতে ইমো এবং এর ব্যবহারকারীদের যুক্ত করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা সবসময় চেয়েছি মানুষ যেনো গেমিং-কে উৎসাহব্যঞ্জক এবং একইসঙ্গে চ্যালেঞ্জিং বিনোদন মাধ্যমে হিসেবে গ্রহণ করি।” তথ্যসূত্র : টেকরাডার।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org