দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক সময় নিয়ম মেনে সচেতন থেকেও রেহাই পাওয়া যায় না। রক্তে বেড়ে যায় শর্করা। তবে ডায়াবেটিস ধরা পড়লে সুস্থ থাকতে শুধু ওষুধই নয়, খেতে হবে কিছু শাকসব্জিও।
সাধারণ রক্তে শর্করা বা়ড়তে পারে বিভিন্ন কারণে। মিষ্টির প্রতি ভালোবাসা তো রয়েছেই, সেইসঙ্গে দৈনন্দিন জীবনের কিছু অনিয়মও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তোলে। ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা পেতে নিজের যত্ন নেওয়া ছাড়া উপায়ও নেই। তবে এতো নিয়ম-কানুন মেনে, সচেতন থেকেও অনেক সময় রেহাই পাওয়া যায় না। রক্তে বা়ড়তে থাকে শর্করা। ডায়াবেটিস ধরা পড়লে সুস্থ থাকতে তাই শুধু ওষুধই নয়, খেতে হবে কিছু শাকসব্জিও। তাহলে কী কী সব্জি খাবেন?
ব্রকোলি
এই শীতে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখার অন্যতম একটি উপায় হলো ব্রকোলি খাওয়া। শীতের বাজারে ব্রকোলি হলো অন্যতম জনপ্রিয় একটি সব্জি। ব্রকোলিতে থাকা ফাইবার শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এমনিতেই ব্রকোলি হলো ডায়াবিবেটিস রোগীরদের জন্য অন্যতম সঙ্গী। ব্রকোলি দিয়ে মাছের ঝোল রাঁধতে পারেন বা স্যালাডেও রাখতে পারেন এই ব্রকোলি।
পালং শাক
শীতে এমনিতেই বাজারে নানা রকম শাকসব্জি থাকে। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা বেছে নিতে পারেন এই পালংশাক। এই শাকে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেলস, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের মতো নানা উপাদান। তাছাড়াও, পালংশাকে থাকা ফাইবার শর্করা কমাতেওসাহায্য করে।
গাজর
এই সময় অর্থাৎ শীতকালীন সব্জির মধ্যে আরও একটি স্বাস্থ্যকর সব্জি হলো গাজর। এই গাজরে রয়েছে উচ্চ মাত্রার ফাইবার, ডায়াবেটিস রোগীদের কাছে সঞ্জীবনী হিসেবে পরিগণিত এই সব্জি। শীতে শর্করা বৃদ্ধির ঝুঁকি থাকেই। গোটা শীতে যদি নিয়ম করে গাজর খান, তাহলে সুস্থ থাকা আরও সহজ হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org