দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কম্পিউটার হ্যাং এক মহা বিড়ম্বনা। কারণ হলো কাজের মধ্যে হঠাৎ করে কম্পিউটার হ্যাং হলে তখন সেটি এক মহা বিড়ম্বনাতে পরিণত হয়। তখন নিজের চুল নিজেই যেনো ছিড়তে ইচ্ছে করে!
আপনার অনেক ভালো সেটাপের কম্পিউটার রয়েছে। তারপরও কোনো কারণে হঠাৎ করেই হ্যাং করছে। এই সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক কিছুই নয়। মূলত কম্পিউটারের ব্যাকগ্রাউন্ডে অনেক কিছু প্রসেসও হয়। এই প্রসেসিং করতে গিয়ে কম্পিউটার হ্যাং করতেই পারে। পরে যদিও কম্পিউটার আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে অনেক সময় এই সমস্যা একটানাও হয়ে উঠতে পারে। বারবার হ্যাং করে আপনার কাজে সমস্যা সৃষ্টি করে। এইক্ষেত্রে আপনি কিছু কাজ করতেই পারেন।
ফুল স্ক্রিন অ্যাপ, যেমন- গেম খেলছেন। এমন সময় যদি হ্যাং হয়েই যায়, তবে Alt + F4 কি চাপলে সামনে যে উইন্ডো রয়েছে সেটি বন্ধও হবে। তখন অন্তত অনেকক্ষণ কম্পিউটারে তাকাতেই হবে না।
কম্পিউটার ঠিকমত কাজ করছে কিনা তা নিশ্চিত করতে Ctrl + Alt + Delete কি চেপে ধরতে হবে। এরপর আপনার স্ক্রিনের সামনে টাস্ক ম্যানেজার চলে আসবে (Task Manager)। টাস্ক ম্যানেজার আসলেই আপনি অনেক কিছুই করতে পারবেন। ব্যাকগ্রাউন্ডের অ্যাপ বন্ধও করতে পারবেন। কম্পিউটার লগ-আউট এবং রিস্টার্টও করতে পারবেন। টাস্ক ম্যানেজারে কাজ না হলে রিবুট ছাড়া সমস্যার সমাধান করাও সম্ভব নয়। Ctrl + Shift+ Esc কি চাপার মাধ্যমে টাস্ক ম্যানেজার এও প্রবেশ করা যাবে। এটি ম্যানুয়ালিও করা যায়। তবে কম্পিউটার হ্যাং করলে শর্টকাটই হলো উপযুক্ত।
এরপর টাস্ক ম্যানেজার এ প্রবেশ করার পর, Process ট্যাব এ ক্লিক করতে হবে। কলাম -এর Header এ CPU অপশনটিও সিলেক্ট করার মাধ্যমে যে প্রসেসটি সবচেয়ে বেশি সিপিউ পাওয়ার ব্যবহার করছে, সেটি উপরে উঠে আসবেই। এই প্রসেসটি সিলেক্ট করে End Task অপশনটি ক্লিক করে তারপর অ্যাপ্লিকেশনটি বন্ধ করে দিন। সেইক্ষেত্রে আপনি যদি ওই অ্যাপ্লিকেশনে কোনো কাজ করেই থাকেন, তবে সেটি সংরক্ষিত না হয়ে চলে যাবে।
Ctrl + Alt + Delete চাপার পরই যে স্ক্রিনটি আসে, সেখান থেকে Restart অপশনটি ব্যবহার করে কম্পিউটার আবারও চালু করতে পারেন। আবার উইন্ডোজ কি + L চেপে আপনি কম্পিউটার লক স্ক্রিনে ফেরতও যেতে পারেন, সেখান থেকেই আপনি কম্পিউটার রিস্টার্ট করতে পারবেন।
ওপরে উল্লিখিত উপায়গুলো যদি কাজ না করে তবে সেইক্ষেত্রে Windows Key + Ctrl + Shift + B চাপতে পারেন। এটিই আপনার কম্পিউটারের গ্রাফিক্স ড্রাইভার রিস্টার্ট করে। যদি গ্রাফিক্স ড্রাইভারজনিত সমস্যা হয়েই থাকে, তবে এইভাবে কম্পিউটার ঠিক করাও যেতে পারে। এ পর্যন্ত উল্লিখিত কোনো উপায়েই যদি আপনার হ্যাং হওয়া কম্পিউটার ঠিক নাও হয়, তবে সেইক্ষেত্রে হার্ড শাট ডাউন পদ্ধতিতে কম্পিউটার ঠিক করার চেষ্টাও করতে পারেন।
এখন আপনার কম্পিউটারের পাওয়ার বাটন খুঁজে বের করুন ও সেটি ১০ সেকেন্ড চেপে ধরুন। বন্ধ হয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই স্বাভাবিকভাবে পাওয়ার বাটন চেপে তারপর কম্পিউটার চালু করুন। আপনার কম্পিউটার যদি ব্লু স্ক্রিনে এসে আটকেও থাকে, সেইক্ষেত্রে এই উপায়ে হ্যাং হওয়া কম্পিউটার ঠিকও করতে পারেন। তবে এই পদ্ধতিটি তেমন একটা সুরক্ষিত নয়। এতে আপনার ডাটা লসও হয়ে যেতে পারে, তাই সময় থাকতে সাবধান হওয়া ভালো। তথ্যসূত্র : বিবুম।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org